ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়-আসসালামু আলাইকুম আশা করছি সকলে ভালো আছেন, আজকের এই পোস্টটি শুধু তাদের জন্য, যারা ব্লগিং থেকে অনলাইনে আর্নিং করতে চাচ্ছেন এবং ব্লগিং বিষয়টি সম্পর্কে আপনি শুরু করার পূর্বেই এ টু জেড জানতে চাচ্ছেন
তাই আজকের পোস্টে আপনাদেরকে ব্লগিং সম্পর্কিত নিচের এই সকল বিষয় আপনি জানতে পারবেন। যেমন -ব্লগিং কি, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগিং কিভাবে শিখব, ব্লগিং কিভাবে শুরু করব, ব্লগের নামের নির্বাচন, বাংলা ব্লগ সাইট থেকে কত টাকা আয় হয়, বাংলাদেশী জনপ্রিয় ব্লগ সাইটের লিস্ট এছাড়াও জানতে পারবেন বাংলা ব্লগ লিখে কিভাবে আপনি ব্লগ সাইট তৈরি করা ছাড়াই প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করবেন।
এর পাশাপাশি আজকে আপনাদেরকে ব্লগিং সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্য দিবো সেই তথ্যগুলি যারা ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের হানডেট পারসেন প্রয়োজনে আসবে। আমার আজকের দেওয়া তথ্যগুলিতে নিজে এক্সপেরিমেন্ট করে যেগুলোর রেজাল্ট পেয়েছি সেই সম্পর্কে বিষয়গুলি শুধুমাত্র আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ইনশাল্লাহ।
ব্লগিং কি?
ব্লগিং হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেই ওয়েবসাইটে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা থেকে যে সকল বিষয় নিয়ে ভিজিটরেরা গুগলে সার্চ করে থাকে সেই সকল বিষয় সম্পর্কে লেখালেখি করে সেখান থেকে আয় করা।
আরো সহজ ভাষায় যদি ব্লগিং আপনাদেরকে বুঝায় তাহলে আপনি এখন যে পোস্টটি পড়ছেন এই পোস্টটি কিন্তু ব্লগিংয়ের কনটেন্ট। অর্থাৎ আপনি এখন যেহেতু এই পোস্টটি পড়ছেন এটি কি একটি ব্লগ সাইট থেকেই কিন্তু পোস্ট করা এই পোস্ট আপনি পড়বেন এই পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক যার মধ্যে সবচাইতে উন্নত নেটওয়ার্ক গুগল কোম্পানির গুগল এডসেন্স, তারা তাদের পলিসি কমপ্লিট হওয়ার পর এডসেন্স ওপেন করে দিয়েলে সেখান থেকে যে আর্নিং আসবে সেটি কিন্তু ব্লগিং।
আশা করছি ব্লগিং আসলে কি এই বিষয়টা আপনাদের প্রাথমিক ধারণা চলে এসেছে।
ব্লগিং করতে আসলে কি লাগে?
ব্লগিং করতে ডিভাইস হিসাবে একটি কম্পিউটার অথবা ভালো কনফিগারেশন এর একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন সহ ইন্টারনেট সংযোগের শুধুমাত্র প্রয়োজন।
এছাড়াও অনেকে প্রশ্ন করে ব্লগিংয়ের জন্য পূর্বের কোন অভিজ্ঞতা দরকার আছে কিনা?
আসলে আপনি যদি একদমই সাধারন হন শুধুমাত্র কম্পিউটার মোবাইল এবং ইন্টারনেটের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে তাহলেও আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। অর্থাৎ শুধুমাত্র সাধারণ কম্পিউটার মোবাইলের জ্ঞান থাকলেও ব্লগিং থেকে আর্নিং করা সম্ভব।
কিভাবে ব্লগিং শুরু করব?
এটি কিন্তু গুগলের এখন মোস্ট পপুলার একটি প্রশ্ন। অনেকেই ব্লগিং কি ব্লগিং থেকে কিভাবে আয় হয় এই বিষয়গুলি জানে। কিন্তু কিভাবে ব্লগিং শুরু করবে এই বিষয়টি কিন্তু অনেকেই জানে না। তাই আজকে আপনাদেরকে ব্লগিং শুরু করা দেখাবো একদম সহজভাবে।
ব্লগিং শুরু করার জন্য আপনি আপনার কম্পিউটার অথবা মোবাইল ডিভাইসের গুগল সার্চে গিয়ে লিখবেন www.blogger.com ।
এটি লিখে যখনই আপনি গুগলে সার্চ করবেন তখনই এই ব্লগারের ওয়েবসাইটটি আপনার সামনে চলে আসবে।
এই ব্লগার ওয়েবসাইটটি গুগলের একটি প্রোডাক্ট এখান থেকে আপনি ফ্রিতে আপনার ব্লগের ওয়েবসাইটটি আপনি তৈরি করে ফেলতে পারবেন এক নিমিষে।
যদি আপনি ব্লগারের এই ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে কোন রকম কোন অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই লিংক থেকে ভিডিওটি দেখে আপনি একটি ওয়েবসাইট সুন্দরভাবে তৈরি করে ফেলুন। ভিডিও লিংক -https://www.youtube.com/playlist?list=PLBevP7Rixya5ou7BUIeML57ZfJeO6izJC
এখন তো ওয়েবসাইট তৈরি করা শেষ। এখন পরবর্তী কাজ হতে ওয়েবসাইটটি আপনাকে অবশ্যই কাস্টমাইজ করতে হবে এবং নতুন একটি ওয়েবসাইটের থিম আপলোড করতে হবে। কাস্টমাইজড এবং থিম আসলে কি এখন আপনি যে ওয়েবসাইটের এই পোস্টটি পড়ছেন এই ওয়েবসাইট এর মত একটি থিম এবং কাস্টমাইজ করতে হবে।
ওয়েবসাইট তৈরি করার যে প্যানেল বা অপশন গুলো আপনি দেখতে পাচ্ছেন সেখান থেকে সেটিংস এবং থিম লেআউট এই অপশনগুলি থেকে আপনি আপনার ওয়েবসাইট খুলে একদম সুন্দরভাবে আপনার মত করে কাস্টমাইজেশন করে নিন।
কিভাবে কাস্টমাইজ এবং কিভাবে সিম আপলোড করবেন এই বিষয়টি যদি আরও বেশি ক্লিয়ার জানতে চান তাহলে এই লিংকটি ভিজিট করুন-https://www.youtube.com/playlist?list=PLBevP7Rixya5ou7BUIeML57ZfJeO6izJC
এখন আপনার কাজ হচ্ছে এই আপনার কমপ্লিট ব্লগ সাইটটিতে পোস্ট তৈরি করা।
কিভাবে ব্লগ পোস্ট লিখব?
আপনি আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখার আগে আপনাকে কিওয়ার্ড খুঁজে বের করতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিওয়ার্ড কি?
আপনি এখন যে পোস্টটি পড়ছেন যে লেখাটি লিখে গুগলে সার্চ করেছেন এবং আমার এই পোস্টটি খুঁজে পেয়েছেন। যে লেখাটি আপনি লিখে সার্চ করেছেন সেই লেখাটির নামই হচ্ছে ব্লগ কিওয়ার্ড। আরো সহজ ভাষায় যদি আপনাদেরকে বুঝায় তাহলে এখন যে পোস্টটি পড়ছেন এই পোস্টের মেইন কিওয়ার্ড হচ্ছে -"ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় "।
ব্লগ পোস্ট লেখার সঠিক নিয়ম
একটি ওয়েবসাইটের বা ব্লগ সাইটের প্রাণী বলা হয় ব্লগের পোস্ট। আর এই পোস্টগুলি যত সুন্দর এবং যত এসইও ফ্রেন্ডলি হবে তত বেশি ভিজিটর আপনার পোস্টগুলি পড়বে।
পোস্ট লেখার প্রথম স্টেপ হচ্ছে আপনি Google এ সার্চ করে সুন্দর ভাবে কিওয়ার্ডগুলো রিচার্জ করে নিবেন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন একটি পোষ্টের মধ্যে মিনিমাম ৮ থেকে ১০টি যাতে সেই রিলেটিভ কিওয়ার্ড থাকে।
এখন আপনি পোষ্টের একদম হেডলাইন দিবেন। অর্থাৎ যেটাকে আমরা টাইটেল বলে থাকি। টাইটেল দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন আপনার টাইটেলটির মধ্যে যাতে অবশ্যই আপনার মেইন কিওয়ার্ড থাকে এবং সেটি আকর্ষণীয় হয়।
এরপরে আপনি ভূমিকা লিখবেন। অর্থাৎ একটি পোষ্টের ইন্ট্রো যেটাকে বলা হয় সেই ইন্ট্রো বা ভূমিকা আপনি 5 থেকে 10 লাইনের মধ্যে সুন্দরভাবে লিখবেন। যাতে একজন ভিজিটর আপনার এই পোষ্টের ইন্ট্রো বা ভূমিকা দেখেই বুঝতে পারে যে আপনার পোষ্টের মধ্যে কি বিষয় নিয়ে আপনি আলোচনা করেছেন। এবং সেখান থেকেই সেই ভিজিটর কিন্তু আকৃষ্ট হবে আপনার পোস্ট দেখার বা পড়ার ক্ষেত্রে।
এরপরে আপনি আপনার মূল কিওয়ার্ডে চলে যাবেন। অর্থাৎ আপনি পোষ্টের যে হেডলাইনটি দিয়েছেন সেই হেডলাইন সম্পর্কে আপনি বড় আকারে অর্থাৎ যে মূল বিষয়টি এই হেডলাইনে উল্লেখ করেছেন সেই বিষয়টির খুঁটিনাটি এ টু জেড আপনি সাব হেডলাইন আকারগুলি ব্যবহার করে ওয়ান বাই ওয়ান সেখানে আলোচনা করবেন।
এরপরে অবশ্যই পোস্টটি লেখা শেষ হয়ে গেলে নিচের দিকে সেই পোস্ট সম্পর্কে বা সেই হেডলাইন সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন উত্তর কি রাখবেন।
উদাহরণস্বরূপ আমার এই পোষ্টের নিচে আপনারা চাইলে দেখতে পারেন।
এরপরে পোষ্টটির আপনি উপসংহার দিবেন অর্থাৎ আপনি ব্লগ পোষ্ট যেটি লিখুন না কেন শেষে কিন্তু আপনি পোষ্টের শেষ কথা ৫-৬ লাইন লিখে দিবেন।
এই নিয়ম অনুসরণ করবেন আর খেয়াল রাখবেন আপনার পোষ্টের মধ্যে যাতে ৮ থেকে ১০টি কিওয়ার্ড অবশ্যই থাকে।
এরপর পোষ্টের মধ্যে অবশ্যই এসইও ফ্রেন্ডলি নিজের ইডিট করা বা কাজ করা অবশ্যই ইমেজ ব্যবহার করবেন। খেয়াল রাখবেন পোষ্টের ইমেজ যাবে আপনার বেশি মেগাবাইট না হয়ে যায়।
আশা করছি উপরের এই নিয়ম অনুসরণ করে আপনি পোস্ট লিখলে আপনার পোস্টগুলি গুগলে ১০০% ইনডেক্স হবে এবং Google এর প্রথম পাতায় দেখা যাবে।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
এই প্রশ্নটি ছিল আমাদের এই পোষ্টের মূল হেডলাইন। তবে এই হেড লাইনটি আলোচনা করার পূর্বে ব্লগিং সম্পর্কে কিন্তু অনেক ধারণা আপনাদেরকে দিয়েছি এখন আপনার সহজ হবে এই প্রশ্নের উত্তরটি সম্পর্কে জানলে।
কারণ ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এর কিন্তু নির্দিষ্ট কোন অ্যানসার কখনো কেউ দিতে পারবে না। তারপরেও ব্লগিং সম্পর্কিত যত প্রশ্ন রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে বেশি Google সার্চ করে এই প্রশ্নটি।
তার আসলে কারণ হচ্ছে যারা ব্লগিং শুরু করতে যায় তারা সর্বপ্রথম জানতে চাই যে আমি যে বিষয়টি নিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করব সেখানে ইনকামের বা আয়ের বিষয়টি আসলে কি।
তাই প্রশ্নটিই হওয়াটি স্বাভাবিক এজন্য আপনাদেরকে উত্তরটি আমি এভাবেই দিব যে ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এই সম্পর্কে আসলে সঠিক এমাউন্ট আমি অথবা যে কেউ বলতে পারবেনা। তবে আপনাকে ব্লগিং করে আয় করার কিছু ধারণা আমি দিতে পারি।
যেমন আপনি ব্লগ সাইট তৈরি করার পর সেই ব্লগ সাইট থেকে আপনি প্রথমত অ্যাড নেটওয়ার্ক যুক্ত করে আপনি কিন্তু প্রতিমাসে মিনিমাম এক লক্ষ থেকে 5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। তবে আপনার সাইটের উপর নির্ভর করে এই আয় বাড়তেও পারে কমতেও পারে।
এড নেটওয়ার্ক গুলি যেমন - গুগল অ্যাড নেটওয়ার্ক, ইজুইক অ্যাড network এছাড়াও এই মোস্ট পপুলার ২ অ্যাড নেটওয়ার্ক ছাড়াও বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বে অনেক ধরনের অ্যাড নেটওয়ার্ক আছে যেগুলি যুক্ত করে আপনি প্রতি মাসে ভালো মানের ইনকাম এই ব্লগিং থেকে করতে পারবেন।
এছাড়াও ব্লগিং থেকে আপনি যেকোনো ধরনের পণ্যের সম্প্রচার করে এখানে থেকে কিন্তু ইনকাম করতে পারবেন।
অ্যাপিলিয়েট মার্কেটিং করেও ব্লগিং থেকে প্রতি মাসে আপনি ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনি প্রচারের মাধ্যমে এই ব্লগিং থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
অর্থাৎ ব্লগিং থেকে আয় করার অনেকগুলি মাধ্যম রয়েছে সর্বপ্রথম কথা হচ্ছে ব্লগিং থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা প্রতি মাসে আয় করা যায় কিন্তু আপনি যেভাবে চাইবে ঠিক সেভাবে তত পরিমাণে আয় হবে যদি আপনি পরিশ্রম করেন এবং ধৈর্য সহকারে ব্লগের ওয়েবসাইটটি সুন্দরভাবে আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে কাজ করতে পারেন।
ব্লগিং থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় হয় তার একটি নমুনা হিসেবে আমি একটি স্ক্রিনশট আপনাদেরকে দিয়ে দিচ্ছি। আশা করছি আমার ব্লগিং থেকে আয় করার ধারণা আপনারা এই নিচের স্ক্রিনশট থেকে পেয়ে যাবেন।
আশা করছি ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় এই বিষয়টি নিয়ে আর কোন আপনার মনে কোন ধরনের কোন প্রশ্নের আসা জাগবে না।
বাংলা ব্লক সাইট থেকে ইনকাম
আচ্ছা খুব ভালো একটি বিষয় এই বিষয়টি নিয়েও গুগলে অনেককে সার্চ করে যে বাংলা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম কি পরিমানে হয়?
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ব্লগ ওয়েবসাইট কিন্তু দুই প্রকারের একটি হচ্ছে বাংলা ভাষায় আরেকটি হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ভাষায়।
এখন বাংলা ব্লগ সাইট থেকে আসলেই সিপিসি কিন্তু খুবই কম। এখন সিপিসি হচ্ছে কস্ট পার ক্লিক। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট থেকে কেউ যদি এড এর উপরে ক্লিক করে তার উপরে একটি রেভিনিউ google বা এড নেটওয়ার্ক থেকে দিয়ে থাকে। সেই রেভিনিউ এর একটা অংশ কিন্তু আপনাকে দিয়ে থাকে গুগল বা অন্যান্য এড নেটওয়ার্ক কোম্পানি।
এখন এই রেভিনিউগুলোর খুবই কম হয় বাংলা ব্লগ সাইটের জন্য।
তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাদেরকে পরামর্শ দিব আপনারা যদি ইংলিশে ভালো এক্সপার্ট হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ইংলিশে ব্লগ সাইট তৈরি করুন।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগ সাইট
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগ সাইট এই লেখাটি লিখে গুগলে প্রচুর পরিমাণে সার্চ করার একটি কারণ আছে। কারণ যারা ব্লগিং নিয়েও ইতিপূর্বে কাজ শুরু করেছে তারাও নিজস্বভাবে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করেছে তাদের আসলে জানতে ইচ্ছে করে যে বাংলাদেশে আসলে জনপ্রিয় ব্লগ সাইটগুলি আসলে কেমন হয় তারা কিভাবে এই জনপ্রিয় ব্লগ সাইটগুলি তৈরি করেছে কিভাবে কাজ করছে এই বিষয়ে। তাই আমি আপনাদেরকে শুধুমাত্র দুটি বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগ সাইটের লিংক নিচে দিয়ে দিচ্ছি। পাশাপাশি আমারও কিছু ব্লগ সাইটে লিংক দিয়ে দিচ্ছি আপনাদের উপকারে আসবে।
ssitbari.com
Usitbari.com
Banglatech24.com
বাংলা ব্লগ লিখে আয়
অনেকে আবার এই প্রশ্নটি করে থাকে যে বাংলা ব্লগ লিখে কিভাবে আয় করা যায় অর্থাৎ আমি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করব না কিন্তু শুধুমাত্র ব্লগ পোস্ট লিখে আমি অনলাইন থেকে আয় করব?
তো এই প্রশ্নটি আসলে অনেকেই করে এজন্য আমি আপনাদেরকে এই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে কিছু বিষয় আলোচনা করব।
হ্যাঁ এটা সত্য যে আপনি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি না করে শুধুমাত্র বাংলা ব্লগ লিখেও প্রতি মাসে ভালো মানের আয় করতে পারবেন।
ব্লক পোস্ট যারা লিখে তাদেরকে কনটেন্ট রাইটার বলা হয়।
আপনি বাংলাদেশে এইরকম বাংলা অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট পাবেন যেখানে আপনি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে শুধু মাত্র ব্লগ পোস্ট লিখে প্রতি মাসে ভালো মানের আই কিন্তু করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনারা ফাইবার আপ ওয়ার্ক এর মত সবচাইতে বড় বড় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে আপনি একটি প্রোফাইল তৈরি করে সেখানে কনটেন্ট রাইটার হিসাবে। দেশ এবং দেশের বাহিরের অনেকের ক্লায়েন্টের কাজ কিন্তু আপনি করে দিতে পারবেন।
বর্তমানে পোষ্ট লিখা অর্থাৎ কনটেন্ট রাইটার হিসাবে প্রচুর পরিমাণে কাজ কিন্তু এই সকল ওয়েবসাইটে আছে।
এছাড়াও আপনাদের মধ্যে কেউ যদি পার্সোনালি আমার ব্লগ ওয়েবসাইটেও পোস্ট লেখার কাজ করতে চান তাহলে আমার সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ করবেন।
ব্লগিং সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন উত্তর
ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে প্রতি মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
ব্লগিং বা ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে প্রতিমাসে কত টাকা আয় করা যায় তার কোন নির্দিষ্ট অ্যামাউন্ট নেই তবে ধারণা করা যায় যে এক লক্ষ থেকে 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আপনি আয় করতে পারবেন।
ব্লগিং করতে কি প্রয়োজন?
একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন অথবা কম্পিউটার ডিভাইস।
ব্লগিং ওয়েবসাইট বা ব্লগিং করতে কোন অভিজ্ঞতার দরকার আছে কিনা?
সহজ প্রশ্নের উত্তর যে ব্লগিং ওয়েবসাইট বা ব্লকিং করতে কোন ধরনের কোন অভিজ্ঞতার দরকার নেই। আপনি চাইলে শুধুমাত্র ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।
ব্লগিং ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স কতদিন পরে পাওয়া যায়?
এটি নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না তবে আপনি চাইলে 10 থেকে এক মাসের মধ্যেই পেয়ে যেতে পারবেন।
ব্লগিংয়ের পেমেন্ট মাসের কত তারিখে দেয়?
গুগল এডসেন্স নেটওয়ার্ক হয়ে থাকলে প্রতি মাসের ২৫ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে পেয়ে যাবেন।
গুগল এডসেন্সের মিনিমাম কত এমাউন্ট হলে আপনি পেমেন্ট পাবেন?
গুগল এডসেন্স থেকে মিনিমাম ১০০ ডলার হলে আপনি পেমেন্ট উইথড্র দিতে পারবেন।
শেষ কথা -
যারা ব্লগিং নিয়ে প্রতিমাসের লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে চান। এবং ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন আজকের এই পোস্টটি তাদের অবশ্যই উপকারে এসেছে। তাই ব্লগিং থেকে আরেক সম্পর্কিত আরো সকল বিষয় জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থাকুন।