হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

 ড. হাসান মির্জার - কিছু কথা-


মানবদেহে কোনো সামাজিক ও পরিবেশ বিশংখলার হতে হলে আমার দৃষ্টে সমধার্মিক প্রয়োগ পদ্ধতির নামই হল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা। কিন্তু এই চেয়ারম্যান কথায় হোমিওপ্যাথ্যা নামক অতলান্ত সাগরসদৃশ নিদানশাস্ত্রকে বা উপলব্ধি করা সম্ভব এবং তার ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। একজন উচ্চতাকারী নারীকে যেমন করে অতি অনাড়ম্বর রং-তুলির আঁচড়ে একটি অপূর্ব সুন্দর চিত্র অঙ্কন করেন তদনুরূপভাবে একজন ব্যক্তি প্যাথিক প্রতীকের গুরুদায়িত্ব হল হোমসমষ্টির দ্বারা রোগীর পূর্ণাঙ্গ রূপ মনঃক্ষনে নিরীক্ষণ করে তদৃশ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। এ কাজটি কতটা কঠিন ও চিন্তাসাপে তা গভীর জ্ঞানসম্পন্ন ব্যাখ্যা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে সম্ভব নয়। এরজন্য চাই সুক্ষ্মদৃষ্টি, কঠোর অধ্যয়ন, গভীর এবং চাই মানবচরিচেত্র বিশ্লেষণের বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনা। অত্যন্ত অত্যন্ত বেদনা হৃদয় চিত্তে বলতে বোঝায় যে, এই সুক্ষ্ম দৃষ্টি এবং বৈজ্ঞানিক চিন্তাচেতনার বড়ই অভাব আমাদের এই হোমিওপ্যাথির ব্যবহারিক। মহামতি হ্যানিমনের হাত ধরে মনীষী কন্ট, ফ্যারিংটন, বোরিক, বার্নেট, বোয়েনিং সিগন্যাল, লিপপি, অ্যালেন, ডেনহাম, কার্লটন, গারেন্সি, স্টুয়ার্ট ক্লাব, নেটবিমুখ জগৎ বিখ্যাত চিকিৎসাবিদরা একথা করেছেন যে, হোমিওপ্যাথি কোন বিষয় নয়, রোগচরিত্রও কোনো স্থূল নয়; শ্রীরে পরী নামক শক্তি পর্যায় বা বিশংলারকারী করে তা দ্রুত তার সূক্ষ্ম বিষয় এবং মোকাবিলা করতে হবে সুক্ষ্মাড়া মানবাধিকার প্রয়োগ করতে। কারণ হোমিওপ্যাথির প্রথম কথা হল রোগী। রোগীর চিকিৎসা করুন রোগ নয় হোমিওপ্যাথি রোগীর চিকিৎসা করে কোনো রোগের নাম ধরে নেই এবং সদৃশবিধান তা বিজ্ঞান অধিকার নয়। কারণ সদৃশধানবি মনে করে আমাদের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য যেমন ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন রূপচর্চার ভিন্ন ভিন্ন। তাই সামষ্টিকভাবে নয় ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের প্রমাণাদি নিরীক্ষণ ও নামকরণ করা এবং তদ্রুপ প্রয়োগ প্রয়োগ করতে বোঝাপড়া করা কঠিন।

হোমিওপ্যাথিক প্রতিবাদ হিসাবে আমাদের যেমন হ্যানি ও তার চিকিৎসা প্রণালী রপ্ত করতে হবে কন্টেন্ট, ফ্যারিংটন, বোটরিক, বোয়েনিং সাইনদের উত্তম প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ হবে। আমাদের জানতে হবে সাধারণ সাধারণ উপসর্গ বলতে কি বোঝানো হয়? বোয়েনিংহোসেনের উপসর্গের সামগ্রিকতা। হোমিওপ্যাথির প্রস্তুতির এই দুই মহারথীর হোমিও সম্পর্কে ও তার প্রয়োগ প্রণালী অনভিজ্ঞ হলে দেখানা। 

কন্টেন্টের সাধারণ বলতে সেই সব সমস্যার সমর্থক সমর্থক রোগীকে নিজের রোগীর রোগীর কথা বলে, যেভাবে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে তার দ্বারা মানুষ প্রকাশ করতে পারে যার দ্বারা আমি অহম বা অহমকে বলতে পারি, এই সমস্ত সমর্থক সাধারণও আবার অসাধারণ হতে পারে। যেমন, রোগী যদি বলেন, “আমি আর বাঁচতে চাই না, আমি জ্বলে ছাই হয়ে যাই, আমার মরণই শ্রেয়” “আমাদের মূলের জ্বালায় জুড়োতে” “পিপাসায় আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে বা সিমেটের শীতল মেঝে না শুলে আমি আর পাইনা” এই ধরনের কথায় আপনি কন্টের ব্যবহার করবেন। এই সব মহাসমর্থ্য যেমন অসাধারণ দেখামূলবানও বটে। বিজ্ঞান ও দর্শনের নির্দেশনা খুঁজে পাওয়া যায় কথিত চিকিৎসা ধারায়। মনে করুন আপনি চিকিৎসা করতে চান। আপনার সম্মুখে রোগী উপস্থিতি। রোগীদেহটি বর্তুলাকার বা মোটা থললেকার ও মেদ ভালো গোটা অপরূপ সুন্দরী কোনো রোগিণী-নাসিকা বাঁশির মত, ভ্রুযুগল বেশ টাটানা, রসুন কোয়ার মত ওদ্বয়, হরিণনয়না বৈশিষ্ট্য, চিপচিপে একত্রিচঞ্চল, দেহটি বায়ুরঙ্গে শারীরিক অমনঙ্গে নিরোগ নিরোগ। কার্বোহাইড্রেট, ক্যাল্ক কার্ব না ফসফরাস এর অধিকারের অন্তর্ভুক্ত - এই চক্ষু তৈরি করা অতীব জরুরি। আমি জানি ডাঃ চন্দ্র রায় রায়ের সেরা প্রকাশের গণনার একজন ছিলেন। তাঁর ছিল এই অত্যাশ্চর্য অবস্থা পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে। দার্শনিকের খুন দিয়ে রোগীর অবয়ব ও তার হৃদয়ঙ্গম করতে রোগী রোগীর মন পূর্ণ করতে হবে। “আমি মরতে, আমার বাঁচতে ইচ্ছা করে” – রোগীর মুখের এই দ্বারা একথাই চাই যে, রোগভোগজনিত কারণে রোগীর শরীরে পরিবর্তন সূচিিত হয়েছে এবং তার মনোবিকৃতির ভাষা পৌছে গেছে৷

সমাজ সমষ্টিই হোমিওপ্যাথিক কারণে চরিত্রের মূল কথা। বিমর্ষ, বিষণ্ণতা, নৈরাশ্য, উদ্বেগ, আঙ্ক, স্মৃতিভ্রমণ, আত্মহ্যার্যা, ইচ্ছা শীতলতা, গরমকাতর পরি-পরিচ্ছন্নতা বা পরপর অগ্রপর্ণা প্রচ্ছন্নতা, পরিবর্তন, পিপাসাতা, ঝোঁক বৃষ্টির আমি চমক, গাড়িতে চড়তে উদ্যম । শতচ্ছন্ন ময়লা পোষাক পরা, ধুলোময়লা হাতে ভোজন করা, ধুলোপায়ে শয্যা গ্রহণ করা, স্নানে অনিচ্ছা, সর্দি নিজের পরিধেয় বস্ত্র মুছে ফেলা, অর্বাচীন বকপাক করা বাচালতা, অশ্লীলতা বা অশ্লীল কথা ওবাঁতা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, ভবিষ্যৎ করা, অভিবাসন করা রং বা বর্ণ, উন্ম্ম ভাব আখ্যাদার বিশিষ্ট অসাধারণ ও অভিনব চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হোমওপ্যাথিক যে প্রতিবাদী বক্তব্যদের কত দামি মূল তা মহাত্মা হলাম অতীব সুন্দর ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, বৈরী মহিষের মূল্যও অসাধারণ। এক একটি চরিত্র চরিত্র যদি আমরা নিখুতভাবে পাঠ করতে পারি তাহলে আমাদের সঠিক পথের দিশা দিশাত সন্দেহ নেই। তাহলে হোমিওপ্যাথিকদের বাঁশবনে ডোমকানা'র মত হাতড়াতে না। 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার একটা বৃহত্তর অংশ হল তার দর্শন। এই দর্শনই অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে হোমিওথিকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। এই বৈশিষ্ট্য ব্যতিরেকে হোমিওপ্যাথি বৈশিষ্ট্যহীন, বৈচিত্র্যহীন। বিজ্ঞান ও দর্শনের যুগের পথ সম্মিলন তা পাসের সিমিলিয়া সিমিলিবাস কারেন্টুর ছাড়া অন্য অন্য, অন্য কোনো প্যাথিতে পরিলক্ষিত নয়। আর আমরা একথাও দর্শন দর্শন ছাড়া বিজ্ঞানের আলোচনা সম্ভব নয়। সূতরাং পীড়া নামক শক্তির বিশৃঙ্খলার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বাহিরে না তার দর্শনের দিকে দৃকপাত করতে সত্যানুসন্ধান করতে হবে। প্রিয় পুত্র বা শিশুর অকাল প্রয়াণ আমরা ব্যথিত বা শোকান্ন দেখতে ভাবতে পারতাম যে আমার মত কোন প্রতিবেশী পুত্রহারা বা শিশুহারা হয়েছে তাহলে নিশ্চিত প্রকৃতি প্রকৃতি পারতাম। প্রকৃতির দেশের বাহির বলে কোনো সত্ত্বা সত্যই কি আছে তা আমাদের অন্তরের দিগন্তর মাত্র৷ পীড়া নামক ভাল শারীরিক অভিব্যক্তি বা নিয়মহীনতা কি শুধু শারীরিক অবস্থা তা আমাদের অন্তরগত মন্দের অভিব্যক্তি। সত্যদ্রষ্টা হ্যানিমান যখন বলেন, সোরা বা মনঃকন্ডুয়নই রোগের মূল কারণ এবং চিকিৎসা যদি করতে হয় তাহলে এই শরীর যাতে সোরা শূন্য হতে পারে তার চিকিৎসা করাই বিধেয়। আর সদৃশধানবি হোমিও পুলিশের নিকট এই সূক্ষ্ম জ্ঞান টুকুই দাবি করে। নারী আমরা অন্তরে শূন্য অন্তরে, সুবিশাল বিশ্বচরাচরে, মিলন মহাযজ্ঞে পরিপূর্ণভাবে নিবেদন না করে ছল ভান করি মাত্র। রোগ হিসাবে আমরা রোগের মুখের কারণ জানা সোরা-সিফিলস-সাইকোসিসের প্রতিকার চিন্তা না করে রোগের গৌণ কারণ পশ্চিমে ছুটছি। সদৃশবিধান সংগ্রাম এই ধরনের মেকি চিন্তা-চেতনা এবং তদ্রুপ চিকিৎসা কতটা ঘৃণা ও অভিজ্ঞতার সে সত্য আজ আমাকে বলতে হবে৷ মিলনের মহাযজ্ঞে আমারার্থে নিবেদন না করে ছলনার ভান করি মাত্র। রোগ হিসাবে আমরা রোগের মুখের কারণ জানা সোরা-সিফিলস-সাইকোসিসের প্রতিকার চিন্তা না করে রোগের গৌণ কারণ পশ্চিমে ছুটছি। সদৃশবিধান সংগ্রাম এই ধরনের মেকি চিন্তা-চেতনা এবং তদ্রুপ চিকিৎসা কতটা ঘৃণা ও অভিজ্ঞতার সে সত্য আজ আমাকে বলতে হবে৷ মিলনের মহাযজ্ঞে আমারার্থে নিবেদন না করে ছলনার ভান করি মাত্র। রোগ হিসাবে আমরা রোগের মুখের কারণ জানা সোরা-সিফিলস-সাইকোসিসের প্রতিকার চিন্তা না করে রোগের গৌণ কারণ পশ্চিমে ছুটছি। সদৃশবিধান সংগ্রাম এই ধরনের মেকি চিন্তা-চেতনা এবং তদ্রুপ চিকিৎসা কতটা ঘৃণা ও অভিজ্ঞতার সে সত্য আজ আমাকে বলতে হবে৷ 

সোরা সিফিলিস-সাইকোসিস-এই ত্রয়ীর প্রথম পাঠক না নিয়ে আমরা হোমিথিক ডক্টর হ্যান পিজ্ঞাপন শক্তি বুঝতে পারছি, রোগী দেখছি, অর্নিহীন ছন্দহীন তাহীন ছদ্মবেশি মুখোশধারী চরিত্রের মুকাভিনয় দ্বারা হোমিওপথির হৃৎথন্ডে কষাঘাতে পরীক্ষা করি। আমরা মেকি শিক্ষায় শিক ভন্ডের দল বলে আজ হোমিওপ্যাথির এত বডনাম। আমাদের কর্মের কথা, আমাদের কথা বলা, আচার ব্যবহার আমার এই পার্থিব জীবন বলে। পরমপ্রিয় স্বামী-মাতার প্রতি ভক্তির ভান করতে আমরা কুণ্কৃত নই, আদরের দুলালের প্রতি স্খলনা দ্বারা ভক্তি প্রেমকে খুন করি। তথ্যপি আমরা হোমিওপ্যাথিক। এই ছদ্মবেশ দেখতে আমাদের বের হতে হবে, মনের আবরণ উন্মোচন করা হ্যানিমানীয় চিন্তাচেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে, তার সম্পূর্ণ পরিত্যাগ করে মুক্তি স্বচ্ছদার চিত্তের অধিকারী হতে হবে। আমাদের ইচ্ছা, কল্পনা, ভিন্ন চিন্তানাকে আনতে হবে যথার্থ হোমিওপ্যাথির অনুসারী ভাবনা। সত্যের কঠিপাথরে যাঁচাই দেখা উচিৎ আমাদের সতা, নিষ্ঠা ও পরিতাকে৷

পথ চিকিৎসা নিয়ে অনেক কথা আছে। রোগীর চিকিৎসার জন্য রোগীর চিকিৎসার জন্য পরীক্ষা করার সময় রোগীর রোগীর শরীরে বিষক্রিয়া করে এমন খাদ্যবস্তু তার খাদ্যতালিকা থেকে বর্জন করার পরামর্শ দেন। কাজটি যদিও কঠিনপি মনে করা প্রয়োজন যে ভিন্ন রোগীদেহে রোগচরিত্রের ভিন্ন ভিন্ন ভিন্ন পথ্যও ভিন্ন উচিৎ, যেমন ধরুন পেটের গোলমাল রাখা কোন রোগীর চিকিৎসা করছেন। আমরা আমাদের হজম শক্তি আরও বেশি করে তিনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হন। এই সুস্বাস্থ্য যন্ত্র মনের পরিচায়ক ভালো নিদ্রা হয়, কর্মে প্রেরণা আসে, শরীর সবল-সতেজ থাকে। রোগীর খাদ্যের জন্য মসলাযুক্ত বা গুরুপাক বর্জন করে সঠিক পরামর্শটি দিতে রোগীর সত্ত্বর তার স্বাভাবিক হজম ক্ষমতা ফিরে আসে। তাই হোমিওপ্যাথিক প্রস্তাব সময় সঠিক পথ্যাদির নির্দেশ অতীব প্রয়োজন। আরো জরুরি বা নেশাকর দ্রব্য যেমন তাক, সিগারেট। মদ্যপান বর্জন করা। আজ একথা বৈজ্ঞানিকভাবে ব্যবহারিত যে শতকরা ত্রিশভাগ ক্যানসার রোগের কারণ তামাক বা ধুমপান। এই ক্যানসার নামটি শ্রাবণে আমাদের শরীর শিহরিত হয়। আমি শতাধিক ক্যানসার রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে তিক্ত ও ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছি। মরণ রোগ কী, কেন এবং কীভাবে আমাদের পরিবার ও সমাজকে জীবনকে চমত্কার করছে তাৎসহ আমার কিছু অভিজ্ঞতা ও রোগীর বিবরণী আপনার জীবন অনেক পরে দেব। তামাক বা ধুমজনিত মুখের ক্যানসার, ফ্যারিংস বা গলবিলে ক্যানসার, ল্যারিংস বা স্বরযন্ত্র ক্যানসার হতে পারে। মধ্যজনিত লিয়ের ক্যানসার সেটভার পেতে থাকে। অসাধারণ উপহাসছলে বলেন যে, আধটু মদ্যপানে কোন ক্ষতি নেই। কিন্তু কথাটি মোটেই ঠিক নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে তো নয়ই। নির্ভুল বৈজ্ঞানিক গবেষণায় একথা সুস্পষ্টভাবে প্রয়োগিত যে, আরও ভালে ভালে শব্দে মদ্যপান উপকার করবে এবং ক্যানসার মত মারণ গেট মরার চান্স খুব ভাল। তাই ঠিক ঐ গ্রীষ্মে কোরানে মদ্যপান কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে।

কোরানের 

সুরা মায়েদার ৯০ নম্বর কথোপকথনে বিশ্ব স্রাষ্টার উত্তর দিয়েছেন, “হে ইমানদার কিছুক্ষণ শরাব, জুয়া পাশা-এসব অপবিত্র, শয়তানের কাজ। তোমরা পরিহার কর- আশা করা যায় তোমরা সফল হবে।

ধর্মগ্রীর বাইবেলও মদ ও মদ্যপান সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা উচ্চারণ করে বলা হয়েছে- “মদ একটি ছলনা, উগ্র পানীয় হলদামতা। ঐগুলি দ্বারা কেউ প্রতারিত । তা কাম্য নয়। “বাইবেলে আরো বলা হয়েছে “মদকে কেউ মাতাল না।”

দেশের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মহাপুরুষের অধিকারী হজরত মহাম্মদ (সঃ) বলেছেন, “সমস্ত নষ্টের মূল হল মদ বা সুরা এবং সমস্ত নষ্টামির মধ্যে অশ্লীল হল মদ। (ইবন মাজাহ)বী (সঃ) লেখক, “যে জিনিসটি বড় করে তোলে আরো নেশাগ্রস্ত হারাম এমনকি তা করে তাকরিও হয় (তথাপি হারাম)। (ইবনে মাজাহ)৷

মদ ও তার পরিবর্তন (বিশ্বনবী) জগৎবাসীকে সতর্ক করে আরো বলেন, “কেবল মদ্যপান করে তারাই নিশ্চিত নয় যে তাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারাও কার্যকর অভিশপ্ত।

কেবলমাত্র ইসলামী ধর্মশাস্ত্র বা খ্রীষ্টান ধর্মশাস্ত্রই নয় আমাদের অনান্য বহুশাগ্রেও মদ ও তার দল গঠনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সুদূর অতীত থেকে মাদকদ্রব্য মানবসমাজকে কীভাবে ভয়ঙ্কর পরিণতির মাধ্যমে পাঠলে আমরা তা নিত্যইপত্র বা দূরদর্শনের চিত্র দেখছি। মদ্যপানের কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনহানি যেমন ঘটছে সমাজ ও জীবনকেও পঙ্গু করে। আমরা দেখতে পাই বিশ্বের বুকে অপরাধের সংখ্যা যে হারে তার কারণ হল এই সুরা বা মদ৷

একজন ব্যক্তি হিসাবে মাদকদ্রব্য সেবনজনিত কারণে জন্ম দুরাগ্য রোগায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণা যা ব্যবহার করা হয়, তার দুচার কথা আমাদের রাখা ভাল -

সিরোসিস অফ লিভার একটি পরিচিত মাদক আশ্রিত রোগ৷

অন্ননালী বা গ্রাসনালীর ক্যানসার, মস্তক ও গলার ক্যানসার, যকৃৎ ক্যানসার, অন্ত্রের ক্যানসার। অন্ননালীর ঘা, পাকড়ির ঘা, অগ্নাশয়ের ঘা, সন্ন্যাসরোগ, মৃগী রোগ, হৃৎপিন্ড ধমনি বা শিরর স্পান্দন থেমে, বিভিন্ন ধরনের প্যারালাইসিস এই মাদক সেবনজনিত রোগ।

ডেলেরিয়াম ট্রেমেন্স এমন একটি রোগ যার অনিবার্য পরিণতি মৃত্যু। আর এই রোগ প্রধানতম কারণ হল মদ্যপান। পাক কচির বহু রোগধারার মূলে আছে এই চ্যাট্মক পানীয়। মদ্যপানকারীদের মধ্যে বক্ষ প্রতিরোধ নিউমোনিয়া, ফুসফুসে পানীয় সংক্রমণ, ইম্পিসেমা পালমোনারি যক্ষা রোগও হয়। যার ফলে মানুষ বিশ্বাসরুদ্ধ হওয়া মারা পড়ে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগ, একজিমা, বেরিবেরি রোগও মাদক সেবনের কারণ। অত্যন্ত বেদনা হত চিত্তে বলতে হবে যে, মদ্যপানজনিত উপরোক্ত রক্তক্ষরণ রোগ ও তার ভয়ঙ্কর পরিণতির কথা জানাতে হবে আমাদের মহামান্য সরকার ব্যক্তারা মদ পরিস্থিতির জন্য ঢালাও পলিকে দায়ী করছেন। কিন্ত কেন? শুধু কি মেদের রোজগারের জন্য অন্য কোন কুমতলব আছে। আমরা জানি সরকার চায় তার নাগরিক আদর্শ নাগরিক, সুগারিকের জীবন-গড়ুক। দেশ সুনাগরিকই তো দেশের সবচেয়ে বড় মানবসম্পদ। আজ এ প্রশ্ন ওঠা আপনি যে, আমাদের দেশের সেরা সরকার সুগারিক চায়না, তারা চায়না মদ্যপ নাগরিক। চরিত্রহীন, লম্পট। আমাদের নিয়মিত হচ্ছে, বিভিন্ন সংবাদপত্র, বেতার, দূরদর্শন এবং বিভিন্ন কারণে ম্যাগাজিনে মদের জোর প্রচার করা হয়। মলয়প্রয়াস, শয়তানি কর্মকান্ড। ভাবতে উদ্যম মানুষ গড়ার সেরা হওয়া মদ্যপান বা মদের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের পশুর কাছ থেকে অধমের পথ ছেড়েছে। ভারতে সমুদ্র পড়ে মহারাজে দোকানে বড় অক্ষরে লেখা :- এখানে দেশি মদ পাওয়া যায় বা 'বিলেতি মদের দোকান'। নাগরিক সমাজ পয়সা খরচ করে 'দেশি', 'বিলেতি' মদ ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত, মরুক, জাহান্নামে বলি। এই ধরনের সর্বনাশা ব্যাখ্যা যে দেশ ও দেশবাসীর জন্য অশুভ ও চ্যাট্মক তা আমরা যত শিঘ্র বুঝবোতলই মঙ্গল। দূরদর্শন এবং বিভিন্ন বৈধ ম্যাগাজিনে ব্যবহার জোর প্রচার করা হয়। মলয়প্রয়াস, শয়তানি কর্মকান্ড। ভাবতে উদ্যম মানুষ গড়ার সেরা হওয়া মদ্যপান বা মদের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের পশুর থেকে অধমের পথ ছেড়েছে। ভারতে সমুদ্র পড়ে মহারাজে দোকানে বড় অক্ষরে লেখা :- এখানে দেশি মদ পাওয়া যায় বা 'বিলেতি মদের দোকান'। নাগরিক সমাজ পয়সা খরচ করে 'দেশি', 'বিলেতি' মদ ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত, মরুক, জাহান্নামে বলি। এই ধরনের সর্বনাশা ব্যাখ্যা যে দেশ ও দেশবাসীর জন্য অশুভ ও চ্যাট্মক তা আমরা যত শিঘ্র বুঝবোতলই মঙ্গল। দূরদর্শন এবং বিভিন্ন বৈধ ম্যাগাজিনে ব্যবহার জোর প্রচার করা হয়। মলয়প্রয়াস, শয়তানি কর্মকান্ড। ভাবতে উদ্যম মানুষ গড়ার সেরা হওয়া মদ্যপান বা মদের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের পশুর থেকে অধমের পথ ছেড়েছে। ভারতে সমুদ্র পড়ে মহারাজে দোকানে বড় অক্ষরে লেখা :- এখানে দেশি মদ পাওয়া যায় বা 'বিলেতি মদের দোকান'। নাগরিক সমাজ পয়সা খরচ করে 'দেশি', 'বিলেতি' মদ ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত, মরুক, জাহান্নামে বলি। এই ধরনের সর্বনাশা ব্যাখ্যা যে দেশ ও দেশবাসীর জন্য অশুভ ও চ্যাট্মক তা আমরা যত শিঘ্র বুঝবোতলই মঙ্গল। - এখানে দেশি মদ পাওয়া যায় বা 'বিলেতি মদের দোকান'। নাগরিক সমাজ পয়সা খরচ করে 'দেশি', 'বিলেতি' মদ ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত, মরুক, জাহান্নামে বলি। এই ধরনের সর্বনাশা ব্যাখ্যা যে দেশ ও দেশবাসীর জন্য অশুভ ও চ্যাট্মক তা আমরা যত শিঘ্র বুঝবোতলই মঙ্গল। - এখানে দেশি মদ পাওয়া যায় বা 'বিলেতি মদের দোকান'। নাগরিক সমাজ পয়সা খরচ করে 'দেশি', 'বিলেতি' মদ ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত, মরুক, জাহান্নামে বলি। এই ধরনের সর্বনাশা ব্যাখ্যা যে দেশ ও দেশবাসীর জন্য অশুভ ও চ্যাট্মক তা আমরা যত শিঘ্র বুঝবোতলই মঙ্গল।

হোমিওপ্যাথিক 

চিকিৎসা পথ্যাদির আলোচনায় প্রসঙ্গত তামাকজাত দ্রব্য ও মদ্যপানের কিছু কথা বলতে হবে। একজন হিসাবে হিসাবে আপনি রোগী দেখতে আহুত রোগী স্থূলদেহি, খসখসে লাবণ্যহীন অস্বাভাবিক, গাত্রে আঁচিল বা আবসদৃশভেদ উদ্দীপক। অন্যান্য সমষ্টি থুজা ওষুধটি নির্বাচন করা। আমরা জানি এই অ্যান্টিকোটিক ওষুধের জন্য পিঁয়াজ ক্ষতিকারক রোগীর রোগীকে পিঁয়াজ নিষেধ করবেন। যে ওষুধের পথের পথের পথিকের কাজ তা বর্জন না করে আপনার চিকিৎসা পদ্ধতি চালু হতে পারে। শুধু তাই নয় এমন কিছু দ্রব্যাদি আছে যেমন কর্পূর বা কফি, আবার ওষুধ গুণও আছে। তাই চিকিৎসা পদ্ধতি এগুলিকে খাদ্য প্রদান করতে হয়। রোগীকে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন আনতে হলে পথের দিকে সতর্কতা জরুরি। মহাত্মা হ্যানিমান তার সুদূর প্রসারির চিন্তার দ্বারা মানুষের রোগমুক্তির উপায় উদ্ভাবন করেছেন এবং রোগীদেহ নিরাময়ের জন্যই শুধু নয় তার ওষুধও তার প্রতিক্রিয়ার কথা বলতে হবে। পথদি সম্পর্কে হ্যানি মনে তার অর্গাননে লেখক, তরুণ রোগের ক্ষেত্রে পথ্যাদির সামনে কড়াকড়ির প্রয়োজন নেই। খাদ্য ক্ষেত্রে রোগীর রুচি বা তার ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর দেওয়া। তার নিজের, রোগী যা চান বা যেভাবে তাকে করতে দিতে উচিৎ। এর কারণ হিসাবে বলেন, এই ধরনের রোগীরা ক্ষতিকারক কোন খাদ্য চান এবং তার সম্পর্কে তার তীব্র বিতৃষ্ণার আইন মেলে। আমরা আমরা তরুণ রোগের আকস্মিকতা প্রতিরোধতা, তা বর্তমান থাকে এবং এই সব রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে রূপধারী রোগীর জন্য জীবনী শক্তিশালী রোগের যথেষ্ট সতেজ থাকে। এই ক্ষেত্রে রোগীর উত্তরক খাদ্য বা উন্নয়ন সেবন যা জীবনীশক্তিকে তা গ্রহণ করবে না। পার্টির ক্রনিক রোগের চিত্রটি ভিন্নতর। শুধুমাত্র শব্দই জানেন যে কোন গন্ধদ্রব্য এবং তার ক্রিয়া স্নায়ুমন্ডলির উপর প্রতিক্রিয়া করে। এইসব গন্ধদ্রাব্যদির ক্রিয়া যদিও কিছুক্ষণের জন্য পরামর্শের ক্রিয়া ব্যাঘাত ঘটায়। সেন্ট, গোলাপজল, টকদ্রব্য, ভিনিগার, নস্যি, কফি ইত্যাদি ব্যবহার যতদূর সম্ভব বদল করা বাঞ্ছনীয়।

ঋতুস্রাবযুক্ত রোগিণীর জন্য লবঙ্গ বা দারুচিনি পরিপালন করা বা ধাতুর্বল্যযুক্ত রোগীকে ডিমের মতো রোগাক্রান্ত খাবার, অনেক কম পক্ষে সম্ভব হতে পারে পরামর্শ ভাল। আমরা হোমিওপ্যাথিক পুলিশ এবং হোমিওপ্যাথির সুক্ষ্মে বিশ্বাসী। তাই সূক্ষ্মমাত্রার যোগসূত্র বা উপযোগীতা কথা বলে তদ্রুপ পথ্য ও ব্যাধির ব্যবহার সমীচীন। হোমিওপ্যাথিক ওষুধের ক্রিয়া পথ্যদির গুণে বিনষ্ট হলে আমরা লক্ষ্যভ্রষ্ট হব।

অশ্লীল বই-পুস্তক পড়া অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর রোগীর জন্য তা হতে পারে। এই ধরনের বই পড়লে স্নায়ুবিক উত্তেজনা বা অবসাদের পথে ৷ মানুষ অশ্লীল রুচিবোধের শিকার হলে পাপজে তার বিবেক দংশন হয়। পাপ কাজ যেমন আসন যৌনাচার, মদ্যপান, জুয়া ইত্যাদি আসক্তি দ্বারা প্রকাশ করে দুরারোগ্য ব্যাধিতে পেষণ করে তার নজির আমরা হামেশাই জানা। বাত, আমাশয়, উদরে ক্ষত, বহুমূত্র, উপদং, এইডস, ক্যানসার, ব্রাইটস ডিজিজ ব্রংকাইটিস, বদহজম, ইত্যাদির মত রোগ শরীরে সহজে বাসা বাঁধে।

মাতৃদুগ্ধই শিশুর খাবার খাদ্য। এই খাদ্যের উপরেই শিশু স্বাস্থ্যনির্ভর করে। তাই শিশু যতদিন স্তন্যপায়ী রাখতে পারে মাতার নিরাপত্তা উচিৎ যে কী খাদ্যবস্তু আহার করবে। শিশু স্বাস্থ্যহানীর একটি বড় কারণ মাতার স্তনদুগ্ধ। মা কুখ্যা বা কুভ্যাসে যুক্ত থাকলে তা স্তনদুগ্ধের মধ্য দিয়ে শিশু উদরাময়, সর্দিকাশি, মুখের ঘা, কোষ্ঠকাঠিন্য, নিদ্রাহীনতা, শীর্ণতা অধিকার আরো বহুবিধ রোগ হয়। তাই শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাতাকে লঘু ওটনকর খাদ্য আহার করতে হবে এবং লালসা বর্জন করে মিতাচারি ও সংযম পালন করতে হবে। বলে, “যে হাত দোলনাকে দোলা দেয় সেই হাতই দেশকে শাসন করে' অন্য যে হাত দোলনা দেয় সেই হাতই দেশ চালায়। কথাটি এতটাই সত্য যে, একটি শিশু, একটি সু-সন্তান একটি পরিবার বা সমাজের জন্য নয় দেশ সমগ্র মানবজাতির জন্য কল্যাণের বার্তাবাহক। তাই শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং তার সুশিক্ষার জন্য মাতৃত্বের যে ভূমিকা তার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই মাতাকে,

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

রোগীদের হিসাবে 

আমরা রোগীদের মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি আমিষ জাতীয় খাদ্য কমর পরামর্শ অবশ্যই দেব। কারণ বস আমি আহার হৃদয়রোগ, লিভার পীড়া, হামন্ত, জ্বর বা সন্নিপাতিক জ্বর, অর্শ, আমাশয়, কার্বাঙ্কল ইত্যাদি কারণ। আমরা লবণমুক্ত খাদ্য- এর প্রচারের কথা শুনি। যক্ষা, হাই ব্লাডপ্রেসার ইত্যাদি অতিরিক্ত শোক আহের কারণ। তাই লবণ মুক্ত খাবার জীবনকে দীর্ঘায়িত করে- কথাটি ডাক্তারদের মনে রাখা উচিৎ। অনুরূপভাবে লঙ্কা বা ঝাল ক্ষতিকর। বিশেষ করে যারা পাক্কির অক্ষর বা শিরোগেট সমস্যা তাদের জন্য লঙ্কা আপনাকে ক্ষতিকর কারণ। মাছ, ডিম মাছ, কিন্তু আমরা আমাদের দেখতে চাই না যে কোন নালী-ঘা বা গাঙ্গি রোগে ডিম মাছ সম্পূর্ণ সম্পূর্ণ মনে। অনুরূপভাবে যকৃৎ পিড়াগ্রস্ত রোগীর জন্য মাখন বা সরিষার তেল ব্যবহার ক্ষতিকর। আবার এই শ্রেণীর রোগীকে মাছ, মাংস, ডিম, দেই, ছানা, দুধকে দেওয়া উত্তম। পাক পাতলা পীড়ায় বিশেষ করে পায়খানা হলে বা আমাশে ডাবের জল, মুসুর ডাল, অ্যারারুট বার্লি খুব ভাল কিন্তু কোন সম্পূর্ণ শর্করা বা শর্করা জাতীয় খাদ্য। দুগ্ধের মত এতকরন ও সুষম খাদ্য আর নেই এবং একথা বৈজ্ঞানিকভাবে যে শিশুকাল থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই দুগ্ধের উপর শান্তি বজায় রাখা যায়৷ মনে রাখা দরকার মাছ বা মাংসের সাথে ডাক্তারের সাথে ঠিক নয়। মরশুমি কাম, সব, জামরুল, আনাস, জাম, পিয়ারা ইত্যাদি পরিমিত ফল যেমন পাত্র অতীব উত্তম। যাকে বিশ্বমানবের জন্য মধু সঞ্জীবনী মহৌষধ বলা হয়, এটি মৌমাছি প্রজাতির একটি অপূর্ব দান। প্রকৃতির কোলেপ সম্পন্ন নিবিড় বনভূমির পুষ্প সংগ্রহ করে মধু তৈরি করে। হাজার তরুলতা ও বনস্পতি থেকে পরাগ সংগ্রহের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই মধু মক্ষিকার দল এবং তাদের এই মধু মানবের জন্য অমৃততুল্য। মানবকল্যাণে মৌমাছির দান যে কতখানি এবং মধুর আশ্চর্য রোগ নিরাময় শক্তি কতবেশী তারইঙ্গিত মেলে বিশ্বনবী হজরত মহাম্মদ (সঃ) - এর সদস্য। এই মহাপুরুষ (সঃ) এর একটি প্রিয় খাদ্য ছিল মধু। গুণ বর্ণনা করা শেষ করা মধু যায়না। বলাবাহুল্য যে মধুর চেয়ে বড় টনিক আর নেই। ভাটি বিভিন্ন, দুধ, দই, ঘি ইত্যাদি খাবার পর পাচনতন্ত্রে যায় এবং তা হজম শক্তির জন্য দল চারটি ঘড়ি চার ঘন্টার সময়। কিন্তু মধু এমনই এক পাচক আহার যে, এটি খাবার পাঁচ থেকে মিনিটের মধ্যে শরীরে শক্তি যোগায়। পছন্দের পর স্বাভাবিক দৈহিক পরিবর্তন। যে সব শিশুকে মধু সেবন করা হয় তার শারীরিক বিকাশ যেমন দ্রুত হয় শিশু বলশালী নিরোগ ও বিবি। মধুর প্রযুক্তি ও গুণাগুণে মুগ্ধ হওয়া প্রাচীন ঋষরা পাল শক্তি উৎস লেখক। এমনকি তারা এঁকে রসায়নের সাথে তুলনা করেছেন। সর্বোত্তম ধরধন্য সর্বকালেরশ্রেষ্ঠ প্রফেট হজ (ভিউ) এর শিক্ষা থেকে একথা এই সর্বদা যে, মধুর আলাদা ফোঁটার মধ্যে অমৃতভরা আছে। অমৃতে এই রোগে এই রসায়ন মধুর ব্যবহার কতটা অজস্র সারে সে সম্পর্কে গণনা অবহিত আছেন। তবু বলি, আধকপালে মাথা ব্যথা, অর্জিততা, অম্লপিত্ত, পক্ষাঘাত, অন্ত্রের ক্ষত, আলস্য, বামন, স্বরভঙ্গ, প্রস্রাববন্ধ, কামলা, কোষ্ঠডতা, ইনফ্লুয়েঞ্জা, মাংসপেশীর সংকোচন, কুষ্ট, শ্বেতস্থ, কার্বাঙ্কল আঁকুঠ, চুলেনি ফোঁকা, চুলে আঁকুড়া বুক-জ্বালা, বসন্ত,

একজন হোমিওপ্যাথিক গুণেভরা অমৃততুল্য মধুর ন্যায় আদা, রসুন, পিঁজ, নিমতা, বাসক পাতা, কর্পূর, অশ্বত্থ, অর্জুন, অশোকগাছ, অপিতা, যগডুমুর, অশ্বগন্ধা, আমকিতা, আকন্দ, হরিতকি, বহেড়া, সুনিশা, কুথা, কুথান, হরিতকি, বহেড়া, কুথান তুলসীপাতা ইত্যাদির ব্যবহার ও তাদের গুণাগুণ অন্তর্ভুক্ত করুন। কারণ স্বাস্থ্য মানুষের সবচেয়ে বড় সুবিধা। আমরা যদি সাধারণ নিয়ম নীতি মেনে নিতে পারি তাহলে বর্জ্যদেহে স্বাভাবিক পুলিশ করতে পারি৷ শরীর শক্তি ও নীলোগ রাখতে হলে খাদ্য, পানীয়, বিশ্রাম, সুনিদ্রা, আলোবাতাস, পোষাক পরিচালন, স্নান, সংযমকলের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। জল ছাড়া জীবন বাঁচানা এবং তাই বিশুদ্ধ মুক্ত বায়ুসুস্থ্যের জন্য জরুরী। তাই যেটি প্রাকৃতিক পরিবেশের সন্ধান করে এবং রৌদ্র করে ঘরই বসবাসের জন্য উত্তম


শরীরে তাপ উৎপাদন দহনক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ক্ষয়পূরণ এবং শরীর গঠনে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য, দৈহিক বল বা তেজ, কর্মক্ষমতা, তাপ উৎপাদন ও চর্বি গঠনে শর্করা জাতীয় খাদ্য এবং মেদ বা চর্বি, তেজ ও উত্তাপ উৎপাদন ও নিয়ন্ত্রণকারী খাদ্যবস্তু হিসাবে আমরা ফ্যাটজাতীয় পথ্যাদির আশ্রয় গ্রহণ করি। কোন কোন রোগ ও তার আরোগ্যদায়ী ঔষধের জন্য কোন জাতীয় ঔষধ কি পরিমাণে দিতে হয় এবং তদসদৃশ খাদ্য তালিকার জ্ঞান অতি জরুরি। নচেৎ ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ফিরতে

হবে।

আমাদের শরীর গঠনের একটি সূক্ষ্ম উপাদান হল ভিটামিন। এর অভাবে জীবনীশক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও হ্রাস পায়। এই ভিটামিন বা খাদ্যপ্রাণ সম্পর্কে চিকিৎসককে সম্যক ধারণা রাখতে হয়। যেমন-

ভিটামিন ‘এ’। এই ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ, চক্ষু ও কর্ণরোগ, সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কাশি, নিউমোনিয়া, মূত্রপাথরি এবং শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির ক্ষয় ও ক্রিয়াহীনতার জন্য রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হয়। সুতরাং পালংশাক, টমেটো, রাঙাআলু, গাজর, মটরশুটি, বাঁধাকপি, পাকা আম, পেপে, দুধ, ডিম, মাখন, সবুজ শাক সবজি ইত্যাদি খাদ্যাদির আবশ্যক। ভিটামিনের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য, অজীর্ণতা, অক্ষুধা, শরীরের ওজন হ্রাস, শীর্ণতা প্রভৃতি রোগ জন্মায়। এরজন্য যবের ছাতু, ছোলা, ভুট্টা, ডাল, সবুজ শাকসবজি, কড়াইশুটি, সোয়াবিন, চিনাবাদাম, সিম, মাছের ডিম, ডিমের কুসুম ইত্যাদি আহার করা দরকার। তাছাড়া কমলালেবু, নারিকেল, আলু, বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, টমেটো, দুধ, গুড়, মাংস, ছানা প্রভৃতি খাদ্যেও অল্প পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায়। 

ভিটামিন ‘সি’। স্কার্ভি রোগের কারণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় ভিটামিন 'সি' খুব দরকারি। এর অভাবে দাঁত ও অস্থিপুষ্টির ব্যাঘাত ঘটে। শিশুর দৈহিক ওজন হ্রাস পায় এবং শিশু শীর্ণ ও খিটখিটে মেজাজের হয়ে পড়ে। আপেল, আনারস, তরমুজ, কলা, আঁখ, লেবু, টমেটো, মুগ, যব, অঙ্কুরিত ছোলা, দুধ, দই, ঘোল, পালংশাক, রাঙা আলু, প্রভৃতিতে ভিটামিন 'সি' প্রচুর পাওয়া যায়। 

ভিটামিন 'ডি'-এই ভিটামিনের অভাবে বা স্বল্পতাজনিত শিশুর শীর্ণতা, রিকেট, অস্থির কোমলতা, দাঁতে পোকা লাগা ইত্যাদি রোগ জন্মে। সূর্যরশ্মি কডলিভার অয়েল, শার্কলিভার অয়েল, মৎস্য, ডিম, দুধ, মাখন, বড়ি, ডিমের কুসুমে ভিটামিন 'ডি' পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। 

ভিটামিন ‘ই’। এর অভাবজনিত গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়, গর্ভও নষ্ট হয়। সোয়াবিন, বাদাম, মাছ ও খাসির তেল, নারকেল, কলা, দুধ, মাংস, ডিমে ভিটামিন ‘ই’ পাওয়া যায় ৷

একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসাবে শুধুমাত্র মেটিরিয়া মেডিকার জ্ঞান বা অর্গানন পড়লেই চলবে না। পাশাপাশি রোগ, রোগী, রোগী চরিত্র, ঔষধ নির্বাচন তৎসহ পথ্যাদির উপরও গভীর জ্ঞান রাখতে হয়। ঔষধের গুণ ও পথ্যাদির গুণাগুণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে তদ্রুপ চিকিৎসাই বাঞ্ছনীয়। যেমন ধরুন চিকিৎসক হিসাবে আপনি কোন বাতের রোগীর চিকিৎসা করছেন। রোগী লবণপ্রিয় আপনার নিশ্চয় জানা আছে যে, কাঁচা লবণ বাতের বড় শত্রু। রোগীকে সঠিক ঔষধটিই দিলেন কিন্তু নুন খেতে নিষেধ করলেন না। ফলে আপনার চিকিৎসায় ফল না পেয়ে রোগী অন্যত্র চলে গেলেন। সামান্য একটা অসতর্কতায় রোগী হাতছাড়া হল আপনারও চিকিৎসক হিসাবে বদনাম হল, বদনাম হল হোমিওপ্যাথির। এই ধরনের অসতর্কতা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কাম্য নয়। সজাগ, সতর্ক ও সাবধানতার সঙ্গে সূক্ষ্মদর্শী না হলে সদৃশবিধানের অনুসারী হওয়া যায় না।

মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের যে সুক্ষ্ম ও স্থূল গঠনপ্রণালী সে সম্পর্কে অ্যানাটমির জ্ঞান জরুরী দেখতে জরুরী ফিজিওলজির জ্ঞান৷

মানবদেহ বিভিন্ন রকম তৈরি করে। এই সম্পর্ককে দেহের কার্যকরী একক বলা হয়। একই রকমের সম্পর্ক সমষ্টিগতভাবে মিলিত অবস্থাকে টিসু বা তন্তু বলে। আবার বিভিন্ন ধরনের পেশী আছে এবং ধর্ম ও ভিন্ন ভিন্ন কর্মতার। মানবশরীরের বিভিন্ন ধরনের পেশীর আকৃতিগত বৈচিত্র্য এবং তাদের গঠনপ্রণালীর জ্ঞান যে কতটা প্রয়োজন তা প্রমাণই অবগত আছেন৷

মানবদেহের একটি শক্তিশালী অঙ্গ হল তার অস্থিতন্ত্র বা হাড়ের গঠন৷ এই অস্থিরতাই মানুষের হৃদয়, হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, লিভার, স্নায়ুতন্ত্র, প্লিহা, কিডনি এবং রক্তসঞ্চালনের শিরা, উপশিরা, ধমনী ইত্যাদি গণপ্রত্যঙ্গ সুর গঠন। অস্থিরতাই মানবদেহের প্রাকৃতিক আকৃতি দান করেছে শরীরকে এবং সুদৃঢ়, স্বাস্থ্যবান ও মজবুত গঠন। সবচেয়ে শক্তিশালী ও মজবুত অঙ্গ হল হাত- যার মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ জল এবং ৭০ ভাগ কঠিন হয়। হাড়কে ও মজবুত শক্তিশালী ক্যালসিয়াম। পাতা লাল রক্ত ​​কণিকা তৈরি হয় হাড়ের মজ্জা থেকে। মানব শরীরে যে ২০টি অস্থির আছে তার মধ্যে হৃদয়ে ২৯টি, দুপায়ে মোট ৬২টি, দুই হাতে মোট ৬৪টি এবং শরীর ভাগে ৫১টি অস্থির৷

বিশ্ব স্রষ্টার এক আজব সৃষ্টি যেমন মানবদেহ তেমনি সেই আজবের মধ্যে আজব সৃষ্টি হল মস্তিষ্ক। এই মস্তিষ্ক দ্বারাই জল-স্থল-অন্তরীক্ষ সবকিছুর উপর প্রভুত্ব করছে মানুষ। মানুষের এই মস্তিষ্কের খুলির ঠিক মধ্যস্থলে একটি foreman magnum নামের গর্ত আছে। এর মধ্যে দিয়ে স্পাইনাল কর্ড মস্তিষ্ক থেকে নীচে নেমে আসে। মেরুদণ্ডটি সাজানো আছে ২৬টি ভার্টিব্রা দিয়ে। ঘাড়ের সারভাইক্যাল ভার্টিব্রা ৭টি, বুকের থোরাসিক ভার্টিব্রা ১২টি এবং কটিদেশের ভার্টিব্রা ৫টি। এছাড়া আছে সেকরাম ও ককসিক্স। এইসব ভার্টিব্রার মাঝে আছে গোলাকার ডিস্ক বক্ষাস্থির খাঁচার মধ্যে আছে হৃৎপিন্ড, ফুসফুস, বড় বড় ধমনী ও শিরা। এগুলি অত্যন্ত সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে। বুকের পিছনদিক ও সামনের দিকে থাকে যথাক্রমে থোরাসিক ভার্টিব্রা ও স্টারনম অস্থি। আমাদের বক্ষপিঞ্জর শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে ওঠানামা করে। উদর ও বুকের ঠিক মাঝখানে থাকে diaphragm নামের মাংসপেশী। এই মাংসপেশী উদর ও বুককে পৃথক করে রেখেছে ।

স্কন্ধের অস্থি হল scapula ও clavicle bone. হস্তের উপরের অংশটির নাম humerus এবং নীচের অস্থি দুটি radius ও ulna. এছাড়া হস্তে আছে ৮টি কার্পাল হাড়-স্কেফয়েড, লুনেট, ট্রাইকোয়েট্রাল, পিসিফর্ম, ট্রাপোজিয়াম, ট্রাপিজয়েড, ক্যাপিটেট ও হ্যামেট। দুই হাতের চেটোয় আছে ৫টি করে মোট ১০টি মেটাকার্পাল অস্থি এবং আঙুলে phalanx, বস্তিপ্রদেশে থাকে দুটি হিপবোন – Sacram ও coccyx. এইদুটি একসঙ্গে pelvic cavity তৈরি করে। পায়ের অস্থির প্রথম অংশটি বেশ বড় ও মজবুত যাকে femur বলে। নীচের হাড় দুটি tibia ও fibula. পায়ের উপর ও নীচের অস্থির মাঝে আছে মালাইচাকি বা patella পদতলের অস্থিগুলি হল-ট্যালাস, ক্যালকেনিয়াম, কিউবয়েড, মিডিয়াম কিউনিফর্ম, ইন্টারমিডিয়েট কিউনিফর্ম, লেটারাল কিউনিফর্ম এবং ন্যাভিকুলার। এগুলিকেই একসঙ্গে টারসাল বোন বলে। তার পরের অংশটি হল Metatarsal bone. দুই পায়ে মোট ১০টি এবং Phalanges ১৪টি করে ২৮টি।

মানব শরীরে বিভিন্ন বিপাক ক্রিয়ার সাহায্যে কিছু বর্জ্য পদার্থ সঞ্চিত হয়, যেমন কার্বন-ডাই অক্সাইড, ইউরিয়া, ইউরিয়া অ্যাসিড, খনিজ পদার্থ, পিত্ত, উদ্বৃত্ত জল ইত্যাদি। এইসব বর্গ্যের নিস্কাশন দ্রুত করা। ফুসফুসে সাহায্যে কার্বন-ডাই অক্সাইড ও জলীয় বাস্প; ত্বক দিয়ে ঘর্ম অনুরোধ জল, ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড; কিডনি দিয়ে মূত্রে জল, ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ক্রিয়েটিনিন, গ্লুকোজ ইত্যাদি বের হয়। এই বর্জ্যপদার্থ নিষ্কাশনের জন্য কিডনির গুরুত্ব অসীম। মানবদেহে কিডনি উদর অভ্যন্তর ঠিক পেছন দিকে ডায়াফ্রিম মাংসপেশীর ঠিক করে এবং শিরদাড়ের পাশে থাকে। ধূসরবর্ণ এক কিডনির প্রায় ১৫০ গ্রাম। কিডনিরের পথটি হল কর্টেক্স এবং ভিতরের দিকে তাকে মেডুলা। এই মেডুলতে নেফ্রিন। এর মধ্যে বিশেষ মূল্যায়ন মূত্র তৈরি হয়। পরে তামূত্র থলি হয়ে মূত্রনালী দিয়ে বের হয়ে আসে। এই অত্যাশ্চর্য যন্ত্রটি শরীরে জলের ভার্সাম্য নিজের করে।

লিভার মানবদেহের সবচেয়ে বড় গ্রন্থি এবং একটি অঙ্গ। এটি উদর অভ্যন্তরের উর্ধ্ব ডেনটির দিকে মধ্যফ্রাম অংশে অংশপেশী প্রায় ১৫০০ গ্রাম। এটি শর্করাজাতীয়, স্নেহজাতীয় এবং আমিষজাতীয় খাদ্যের বিপাকে সাহায্য করে। টক্সিন জাতীয় বর্জ্য পদার্থ বের হতে সাহায্য করে। এই লিভার বা যকৃতে প্রোথ্রোমবিন হয় ভিটামিনকে '-এর সাহায্যে। যকৃৎ শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করে এবং শরীরকে করে। লিভারের ডেনের দিকে লোবেরের কাছে নাস প্রীতি আকৃতির পিত্তায় বা গল ব্লাডার আছে। লম্বায় ১ ইঞ্চির মত পিত্তাশয়টি পিত্তরসে পূর্ণ থাকে। এর সিস্টিক নালী হেপাটিক ডাক্ট এর সাথে মিলিত হয় সাধারণ হেপাটিক নালী বা পিত্তনালীর অবস্থান যা ডুডেনাম এর সাথে যুক্ত; এর মধ্যে দিয়ে পিত্ত অন্ত্রে যায়, পিত্ত খাদ্য হজমের বিশেষ সহায়ক।

উদর মধ্যস্থ ডিম্বাকৃতির একটি গ্রন্থি, লালচে বেগুনি বর্ণের, উদরের বাম উর্দ্ধাংশে ডায়াফ্রাম মাংস পেশীর ঠিক নীচে থাকে – যার নাম Spleen বা প্লীহা । এটি লোহিত কণিকা ও শ্বেতকণিকা ধ্বংস করে। প্রায় ২০০ গ্রাম ওজনের Spleen রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্যানক্রিয়াস একটি বড় গ্রন্থি। এর মাথার দিকটি ডিওডিনামের সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং লেজটি প্লীহা পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি পাকস্থলীর পিছনদিকে সমান্তরালে অবস্থান করে। এখানকার জারক রস খাদ্য হজমে সাহায্য করে ৷ প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের বিশেষত্ব হল এই যে, এখানকার নিঃসৃত ইনসুলিন রস শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাদ্যের বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে। কোন কারণে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে গেলে ডায়াবিটিস বা বহুমূত্র রোগ হয়।

মানবদেহের স্নায়ুতন্ত্রের তিনটি ভাগ – ১) কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র বা Central Nerve, ২) প্রান্তিক বা Peripheral Nerve এবং ৩) স্বশাসিত বা Autonomic Nerve । কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দুটি-মস্তিষ্ক এবং স্পাইনাল কর্ড। মানব মস্তিষ্ক অতিসূক্ষ্ম অতি উন্নত স্বয়ংক্রিয় জটিল একটি যন্ত্র। মস্তকের খুলির ভিতরে সুরক্ষিত অবস্থায় থাকে। মস্তিষ্কের একটি বড় অংশ হল Cerebrum. এর বাইরের অংশটি হল Cortex. এখানে থাকে ধূসরবর্ণের gray matter 3 white matter. আমাদের কথা বলা, চলাফেরা, নড়াচড়া, চিন্তাকরা, স্মৃতিশক্তি, বিবেকবুদ্ধি, জ্ঞান-সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি এখানে অতীত অভিজ্ঞতা সঞ্চিত থাকে। আর মস্তিষ্কের পিছনের ছোট একটি অংশ হল olfactory lobe. গন্ধ শোঁকার যে অনুভুতি তা নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের অনুভূতির যে সূক্ষ্ম স্তর তাকে নিয়ন্ত্রণ করে Diencephalon. এখান থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় পিটুইটারি গ্ল্যান্ড, রক্তচাপ, দেহের তাপমাত্রা এবং শরীরে জলের সমতা রক্ষা করে। মস্তিষ্কের Midbrain দেহের মাংসপেশীর টান নিয়ন্ত্রণ করে, শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তিকে পরিচালিত করে এবং আমরা যেসব কাজ করি তার পরিমিতি বজায় রাখে।

সেরিবেলাম - এর কাজ হল মাংসপেশীর নিয়ন্ত্রণ, দৈহিক ভরসাম্য ইত্যাদি। মেডুল্লা ওলংগাটা। মোচাকৃতির এই অংশটি স্পাইনাল কর্ড হয়ে গেছে। এখানে থাকে কার্ডিয়াক সেন্টার, রেসপিরেটরি সেন্টার, ভাসোমোটর সেন্টার। পান হাসি, কাশি, হাঁচি, ঢোক গেলার কাজ করা৷

স্পাইনাল কর্ড -এটি মেডুলার পর থেকে কাঠের অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। এখানে আছে নিউরাল ক্যানেল। এর মধ্যে থাকে সাদা পদার্থ এবং ভিতরে থাকে ধূসর পদার্থ। এই স্পাইনাল কর্ড থেকে একত্রিশ জোড়া স্পাইনাল নার্ভ বের হয়।

পেরিফেরাল নার্ভে আছে ক্র্যানিয়াল নার্ভ ও স্পাইনাল নার্ভ। প্রথম সেট আছে ১২ জোড়া নার্ভ এবং দ্বিতীয় আছে ৩১ জোড়া নার্ভ।


এসবের বিস্তৃত আলোচনার অবকাশ এখানে নেই। আমরা চিকিৎসা জগতের বাসিন্দা। আমাদের দায়িত্ব অনেক, কাজ অতি কঠিন। পীড়া নামক মানবদেহের ও মনের যাতনা নিরসন করে রোগীকে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হলে শুধু মেটেরিয়া মেডিকার জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। আমরা যে রোগীর চিকিৎসা করি সেই রোগীর প্রতিটি অঙ্গপ্রতঙ্গ, তার অবস্থান ও ক্রিয়াক্ষেত্র সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখতে হবে। আমাদের জানতে হবে অ্যানাটমির পূর্ণ পরিচয়। অর্জন করতে হবে ফিজিওলজির জ্ঞান। আমার এমন কিছু ছাত্র আছে এবং এমন বহু হোমিও চিকিৎসককে জানি যারা স্ট্যারনাম অস্থি শিখেছে কিন্তু তার অবস্থান জানেনা, প্যানক্রিয়াস নামটি শুনেছে কিন্তু তার ঠিকানা বোঝেনা, প্রোস্টেট গ্ল্যান্ড পড়েছে অথচ প্রোস্টেট গ্ল্যান্ডটি কী, কোথায় থাকে, তার ক্রিয়াক্ষেত্র সম্পর্কে অজ্ঞ, স্পনডালাইটিসের চিকিৎসা করছে কিন্তু স্পনড্রালাইটিস কাকে বলে, কেন ঐ রোগ হয়, কীভাবে উক্ত রোগ সারে এবং সর্বোপরি হোমিওপ্যাথির কোন কোন্ আশ্চর্য ঔষধ রোগীকে স্বচ্ছন্দে ফিরিয়ে আনতে পারে তা বোঝেনা। স্থূল মস্তিষ্কের এইসব ভন্ডরা কেমন করে হোমিওপ্যাথির সর্বনাশ করছে তা যদি বুঝতো তাহলে জগতের অনেক কল্যাণ হত। চিকিৎসা যদি করতেই হয় তাহলে অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, অর্গানন, মেটিরিয়া মেডিকা, সবকিছু নিখুঁতভাবে অধ্যয়ন করুন। জ্ঞানচক্ষু উন্মোচন করে কর্মপোযোাগিরূপে নিজেকে তৈরি করুন, তারপর কাজে নামুন। একজন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সৎ, স্বচ্ছ, উদার ও মুক্ত মনের মানুষ হবেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে মাথা ঝুঁকিয়ে তার করুণাপ্রার্থী হবেন। সেইসঙ্গে স্রষ্টা ও তার সৃষ্টি বৈচিত্র্য নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা করবেন। স্রষ্টায় নিবেদিত প্রাণ হতে না পারলে মানবজীবন যে ব্যর্থ হবে তা সূক্ষ্মদর্শী চিন্তাশীল মানুষ মাত্রই বোঝেন। মহামতি হ্যানিম্যান তার সুদূরপ্রসারি চিন্তাচেতনার দ্বারা সৃষ্টিকর্তা, আত্মা এবং মানবের কর্মফলের হিসাব তথা পাপপুণ্যের প্রতিফল দিবসকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করে নিয়েছিলেন।

সে যাইহোক, চিকিৎসক হিসাবে আমাদের মানবদেহের গঠন প্রণালী ও তার ক্রিয়াক্ষেত্রের পূর্ণ পরিচয় অজানা থাকলে চলেনা ।

মানবদেহের সমস্ত কাজকর্ম যে সুনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য বিভিন্ন স্নায়ুতন্ত্র এবং এন্ডোক্রাইন বা অন্তক্ষরা গ্রন্থির অবদান অনস্বীকার্য। এই গ্রন্থি থেকে বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয় যা রক্তের মাধ্যমে দেহের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। পিটুইটারি, থাইরয়েড, প্যারাথাইরয়েড, এডরেনাল, প্যানক্রিয়াস ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য অন্তক্ষরাগ্রন্থি । পিটুইটারি গ্রন্থটি আমাদের মস্তিষ্কের নীচের দিকে থাকে, অনেকটা মটর কড়াইয়ের মত দেখতে। এর থেকে বিভিন্ন ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়। থাইরয়েড গ্রন্থি আছে আমাদের কণ্ঠের সামনের দিকে। এতে আছে Thyroxine ও Calcitonin হরমোন। থাইরকসিন গ্লুকোজের বিপাকে সাহায্য করে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ওজন ঠিক রাখে। ক্যালসিটোনিন ক্যালসিয়াম বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং মাংসপেশী ও স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখে ৷ থাইরকসিন নিঃসরণ কম হলে শিশুদের Cretinism নামের রোগ হয়। ফলে শরীরের বৃদ্ধি ঘটেনা, বামন হয়ে যায়। থাইরয়েড গ্রন্থির পশ্চাতে ছোট চারটি প্যারাথাইরয়েড গ্রন্থি থাকে। এরা দেহে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এডরেনাল গ্রন্থি থাকে দুটি কিডনির ঠিক উপরে। এই এডরেনালের আবার দুটি ভাগ। এডরেনাল করটেক্স ও এডরেনাল মেডুলা ৷

একজন ডাক্তার হিসাবে আমাদের জানতে হবে প্রজননতন্ত্রের কথা। পুরুষ অন্ডকোষে আছে দুটি testis, আনুষঙ্গিক কিছু গ্রন্থি, একটি duct system ও পুরুষাঙ্গ। testis একটি ডিম্বাকৃতির গ্ল্যান্ড। এখানেই শুক্র তৈরী হয় এবং testosterone হরমোন তৈরি হয়। অন্যান্য গ্রন্থির মধ্যে আছে প্রষ্টেট গ্ল্যান্ড, একজোড়া Seminal Vescicles এবং Cowpers গ্ল্যান্ড। পুরুষাঙ্গ মাংসপেশী দিয়ে তৈরি একটি নলাকার নল। এর মধ্য দিয়েই মূত্রনালী বের হয়। এই মূত্রনালী দিয়ে শুক্র ও প্রস্রাব বাইরে নির্গত হয়। পুং শুক্রাণু (Seprm) নারীর ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে প্রজনন ঘটায় ।

স্ত্রী জননযন্ত্রে আছে একজোড়া ডিম্বকোষ, একজোড়া ফ্যালোপিয়ান টিউব, গর্ভাশয়, যোনিনালী, কিছু গ্রন্থি। ডিম্বকোষ একটি গ্ল্যান্ড এবং ডিমের মত দেখতে। উদর মধ্যে ডানদিকে ও বামদিকে একটি করে ডিম্বকোষ থাকে। ফ্যালোপিয়ান টিউব একটি নালী। গর্ভাশয়ের দুদিকে দুটি থাকে। আর আছে fimbria, গর্ভাশয়টি মাংসপেশী দিয়ে তৈরি, এটি নাসপাতির মত দেখতে, ফাঁপা। এর উপর দিকটি fundus এবং নীচের দিকটি হল Cervix. এই Cervix অংশে যৌনমিলনের সময় পুংস্পার্ম পতিত হয়। ফলে গর্ভসঞ্চার ঘটে।

এবার রক্ততন্ত্রের কথা ভাবুন। এই রক্ত দেহকে সজীব ও কর্মক্ষম রাখে । রক্ত লাল রঙের এবং তরল। হৃৎপিন্ড ধমনী ও শিরা উপশিরায় রক্ত চলাচল করে। পুরুষ শরীরে ৫/৬ লিটার রক্ত থাকে, নারীদেহে থাকে ৪/৫ লিটার। রক্তের প্রধানতম কাজ হল দেহের সমস্ত কোষে খাদ্য সরবরাহ করা, জলসাম্য রক্ষা করা, অক্সিজেন সরবরাহ, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কার্বন-ডাই অক্সাইড বের করা। রক্তের একটি অংশ Corpuscle এবং অন্যটি Plasma. এছাড়া সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, সালফেট, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড থাকে। গ্লুকোজ, চর্বিজাতীয় পদার্থ, ভিটামিন, কোলেষ্টেরল ইত্যাদি রক্তের অন্তর্ভুক্ত। এওর্টা(Aorta) হল দেহের সবচেয়ে বড় ধমনী। এই এওর্টা দিয়েই অক্সিজেনযুক্ত রক্ত দেহের সর্বত্র পৌঁছায়। ডান ও বাম করোনারি ধমনী এওর্টা থেকে বের হয়ে হৃৎপিন্ডের মাংসপেশীতে রক্ত সরবরাহ করে। করোনারি ধমনীতে কোনরকম বাধার সৃষ্টি হলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং হৃৎপিন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একেই myocardial infarction বা হার্ট অ্যাটাক বলে । আমার চেনা জানা পরিচিত এমন অনেক চিকিৎসক দীর্ঘদিন ডাক্তারিও করছেন কিন্তু কথা প্রসঙ্গে হার্ট অ্যাটাক নামটি শুনলে বাকরুদ্ধ হয়ে যান। যেন এমন একটি জটিল ও কঠিন ব্যাপার যা তাদের জন্য বোঝা দুঃসাধ্য। চিকিৎসক হিসাবে মাঝে মাঝে আমাদের এমন কিছু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় যার সঠিক উত্তরটি অজানা থাকলে একদিকে যেমন লজ্জায় মাথাটি হেঁট হবে তেমনি ফালতু ডাক্তার, “কিছু জানেনা এমন সব বিশেষণও জুটতে পারে। আমি যখন মতিবাবুর কাছে প্রথম যাওয়া শুরু করি দেখতাম গুরুদেব রোগীদেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ, রোগ ও তার কার্যকারণ সম্পর্ক সরল ভাষায় বুঝিয়ে দিতেন। ফলে রোগী মনে একটা শ্রদ্ধা ভক্তি তৎসহ বিশ্বাস তৈরি হয়। সুপন্ডিত, দার্শনিক চেতনাসমৃদ্ধ মতিবাবুর সান্নিধ্যে থেকে আমি প্রথম থেকেই অ্যানাটমি ও ফিজিওলজির খুঁটিনাটি বিষয়াদি রপ্ত করে নিই ৷ মতিবাবু বলতেন, “হোমিওপ্যাথির ক্ষুদ্র অথচ অসাধারণ লক্ষণ বৈচিত্র্যের মত মানবদেহের কাঠামো, বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও তাদের ক্রিয়াক্ষেত্র সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখতে হবে।” “হোমিওপ্যাথি করি বলে টোটালিটি অফ সিমটমস্ – এই কথাতে সীমাবদ্ধ না থেকে মানবশরীর সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা না থাকলে ডাক্তার হতে পারবেনা” মতিবাবুর বক্তব্য। আমার অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এমনকি বাংলাদেশেও আছে ডাক্তারি করছে তাদের প্রত্যেককেই বলি শরীরতন্ত্র, ঔষধবৈচিত্র্য, রোগীর লক্ষণচরিত্র, অর্গাননের বিভিন্ন ধারা, আবহাওয়া, ঔষধের শক্তি নির্বাচন – ইত্যাদির জ্ঞান অর্জন করতে। এর জন্য দিবারাত্রি পড়াশুনা করতে হবে।

'হোমিওপথি ও আমার পাগলাডশ শক্তির অভিজ্ঞতার অভিজ্ঞতা-মের পুস্তকের প্রথম খন্ডটি লেখার পর আমাকে এবং আমার ছাত্র সেখ মোস্তাফিজুর রহমান ও সেখ সামসুল আলম-এর কাছে পুনঃপুনঃ খুব বেশি থাকতে পারে আমার দুই হোমিওপ্যাথিক, চিকিৎসার ও তার সম্পর্কে কিছু লিখতে হবে। ওয়ার্ডই বলি হোমিওপথিক ওষুধের শক্তি নির্বাচন করা নিশ্চয়ই সমস্যা। কারণ মহাত্মা মানব রচয়িতা, হোমিওপ্যাথিতে পেতে হলে সঠিক ওষুধ নির্বাচনই যথেষ্ট নয় কোন্‌ রোগের ক্ষেত্রে কতটা শক্তি প্রয়োগ করতে পারে তার জ্ঞান দিতে হবে। মহাত্মার শব্দ, "কোনও রোগের ক্ষেত্রে ওষুধের উপযুক্ততা শুধুমাত্র তার সঠিক হোমিওপ্যাথিক নির্বাচনের উপর নির্ভর করে না।" হোমিওপ্যাথি একথাই ব্যবহার করেছে, রোগ কোন রূপকথা নয় এবং আমাদের নশ্বর দেহকে আক্রমণ না করে আমাদের জীবনীশক্তি আক্রমণ করে। কারণ সোরাফিলিস সাইকোসিস যা বিকৃত যৌনাচারে পরিণত হয়েছে যার কারণে আমাদের দেহের দেহের জীবনীশক্তি বিশৃংখল পড়েছে – তাকে পীড়া বলি। আর এই পীড়া কোন স্থূল বিষয় নয়, ইহা আরও সুক্ষ্মও। তাই ব্যাধি নামসূক্ষ্ম শক্তি মোকাবিলা করতে হলে কারণের সূক্ষ্মকেও সূক্ষ্ম করতে হবে। এছাড়াও একথাও মনে রাখা প্রয়োজন যে ওষুধের সুত্র্মমাত্রা তার পরিস্থিতি পরিবেশ ছাড়া কার্যকর নয়। কাস্তেঃউতে যৌন শক্তি হারা কোন বাস্তবে যানা কেবলমাত্র যানাপূর্ণভাবে ব্যবহার করা সম্ভব, অন্যের উপলব্ধি সম্ভব নয়। হোমিওপ্যাথির সুক্ষ্মথার যে আলোচনা করছি সেই সুক্ষ্মতা সম্পর্কে অজ্ঞাতাবশত উপহাস বলেন, ওহ! কিচ্ছু হবে। ওসব জলপড়া ছাড়া আর কিছু নয়। আমাদের মধ্যে কোন বিজ্ঞান নেই। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন যে বিজ্ঞানের অর্থ যদি বিশেষ জ্ঞানের প্রত্যক্ষ ও প্রয়োগিত ঘটনা হয় তাহলে হোমিপ্যাথির সুম্মার প্রত্যক্ষ ও বিগত তথ্য বিজ্ঞান হবে না কেন? ন্যায়পক্ষে যা কিছু অংশিত ও ফলপ্রদ তাকে করা কি ভন্ডামি নয়? হোমিওপ্যার সূক্ষ্মমাত্রাকে এই চর্মচক্ষে কার্যকরী হতে পারে না কিন্তু সেই সূক্ষ্মার রোগ আরোগ্যের অত্যাশ্চর্য বিশ্লেষণ করা তো বিজ্ঞানকে, সত্যকে দেখতে পাওয়া। এই সুবিশাল বিশ্বচরাচরে এই নীল নীলিমায় এমন অনেক কিছু আছে যা আমরা দেখতে পাই না বা আমাদের জ্ঞানের বহির্ভূত। তার মধ্যে তো এ নয়, যা দেখতে পাই না বাহির্ভূত তা নেই। অসীম বিশ্বব্রহ্মান্ডের যেখানে কিছু আছে তার কতটুকু শক্তি আমরা জানি? কত কোটি তারকা, কত ছায়া পথ নীল দিগন্তে লীন হয়েছে বাঘা অধিকার বাঘা অধিকার কি তার নীতি গ্রহণ করেছেন? সাগরতলের গোপন ব্যক্তি তো আজও অনাবিষ্কৃত। বিজ্ঞানীরা আমরা যাও বলিনা কেন তা অসম্পূর্ণ। শক্তিদের শক্তি প্রচেষ্টা প্রচেষ্টা উন্মোচনের নিশ্চয়তা প্রদান এবং এই সাফল্য শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জয়। লক্ষ্যপি আমাদের মনে রাখা উচিৎ যে, বিজ্ঞান ও দর্শনই দেখতে পারে আমাদের সত্যের আরো দেখতে। কারণ বিজ্ঞান অপেক্ষা সত্য অনেক বড় এবং হোমিওপ্যাথি সেই সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত সেই হেতু একথা নিশ্চিত করে বলা যায় যে, যত ব্যবস্থার যত প্যাথি হোমিওপ্যাথির স্থান সব ঊর্দ্ধে এবং হোমিওপ্যাথির সূত্রমক্ষতি কার্যকরী চিকিৎসা বিজ্ঞানের এক পরিণতি। সত্যপির অনুসারী হ্যানিমান অকপটে করতে ভোলেননি যে, সূক্ষ্ম কার্যকারিতা দ্বারা সংঘটিত হয় তা তিনি নিজে যেমন বোঝেন না চালক অন্ধবিশ্বাসও অনুরোধ করেন। হ্যানিম্যানের শব্দ, “আমি মোটেও কোন বিশ্বাসের দাবি করি না, এবং দাবি করি না যে কোনও দেহ এটি বোঝা উচিত। আমিও তা বুঝতে পারছি না; এটি যথেষ্ট যে এটি একটি সত্য এবং কিছুই নয়।' মনে রাখা উচিৎ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের সুক্ষ্মতার কার্যকারিতা তার গুণগত গুণগত মানের উপর প্রভাব ফেলে এবং তা কার্যকর হয় যখন ওষুধচিত্র ও রোগচরিত্র সদৃশ হয়।

হোমিওপ্যাথির উচ্চশক্তি ও নিম্নশক্তির ব্যবহারবিধি নিয়ে মতান্তর মনে করি আমি নূতন রোগের তরুণ উচ্ছ্বাসেনিমান নির্দেশিত নিম্নশক্তি ব্যবহার করাই উচিৎ। হানিমান এই নিম্নশক্তি বলতে ৩০ শক্তি নিজেরেছেন। আমি অবশ্য ৩০ এবং ২০০ শক্তি—দুটি ব্যবহার করি। তবে রোগের প্রকৃতি কি রূপ, রোগীর রোগ প্রণয়নযোগ্য, 2) দীর্ঘস্থায়ী রোগ নিরাময়যোগ্য, 3) নিরাময়যোগ্য রোগ নিরাময়যোগ্য। . নিম্নশক্তি বা মাঝারি শক্তির ওষুধ প্রয়োজনে বারবার ব্যবহার করতে হয়। তবে যদি কেউ কেউ তা সংক্ষিপ্ত না দীর্ঘ সময়ের কার্যকাল জ্ঞান প্রয়োজন। আবার ক্রনিক রোগচরিত্রের সঙ্গে ওষুধও তার প্রক্রিয়া পরিবর্তন খুব জরুরি। আবার রোগের ক্ষেত্রে উচ্চ শক্তি প্রয়োজন একটি বা আরও দু এক মাত্রার ব্যবহার বিধি। অ্যাক্টিভেট পরিবর্তনের রোগীর সমষ্টির সঙ্গে ওষুধ ও তার রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়।

এরূপ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের দূরদৃষ্টি, পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা এবং ঔষধের ব্যবহার বিধির সম্যক জ্ঞানই রোগীকে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে। ডাঃ প্যাষ্টারসন মনে করেন ক্রনিক অবস্থায় মাঝারি বা উচ্চশক্তির ঔষধই বাঞ্ছনীয়। তবে তিনি একথাও বলেছেন যে, চিররোগে যেখানে প্যাথলজিক্যাল চিত্রটির পরিবর্তন ঘটে যায়, শরীরে ইরাপসন সদৃশ উদ্ভেদ প্রকাশ পায়, এমনকি সেইসব ইরাপসন থেকে জলবৎ রস বা পুঁজ ক্ষরিত হয় তখন ঔষধ নির্বাচন করাই কঠিন হয়ে পড়ে তদৃশ অবস্থায় নিম্নশক্তির ঔষধ ব্যবস্থা করা উচিৎ। আমিও মনে করি যে, দুরারোগ্য পীড়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে যেখানে সদৃশ ঔষধ ব্যবহার করা রিস্কি মনে হবে সেখানে ঔষধের নিম্নক্রম দেওয়ায় সঙ্গত ৷ আবার Hypersusceptible শ্রেণীর রোগী বা ফ্লেগমেটিক, ইডিওটিক, মাসকুলার কিংবা যারা ষ্টিমুলেন্ট ও জোলাপ ব্যবহার করেন এবং তাম্রকুটসেবি ও নেশাগ্রস্ত রোগীর জন্য কমশক্তির ঔষধই কাম্য। কিছু রোগীর চিকিৎসায় আমি লক্ষ্য করেছি যে, উচ্চশক্তির ঔষধ যেখানে কাঙ্ক্ষিত ফল দেয়নি সেক্ষেত্রে নিম্নক্রম ব্যবহারে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। প্রোথিতযশা হোমিও চিকিৎসক ডাঃ ব্রাউন তার বাস্তব অভিজ্ঞতার বিবরণীতে বলেছেন, লাইকোপোডিয়াম ২০০ বা ১০০০ শক্তি প্রয়োগে যেখানে ফল পাওয়া যায়নি সেক্ষেত্রে লাইকো নিম্নশক্তি আশাতীত ফল দিয়েছে। অথবা কটি স্নায়ুগুলে ব্রায়োনিয়ার উচ্চক্রম যেখানে ব্যর্থ হয়েছে সেখানে এর নিম্নক্রম রোগীকে সুন্দরভাবে আরোগ্য করেছে। সুতরাং রোগীদেহের জন্য গ্রহণযোগ্য শক্তি ছাড়া রোগ নিরাময় সম্ভব নয়। ডাঃ ন্যাস, ডাঃ লিপি, ডাঃ ডানহামের রোগী বিবরণী পাঠে উপরোক্ত তথ্য আরো সুন্দরভাবে প্রমাণ হবে। অতএব, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নিকট যথার্থ ঔষধ নির্বাচনের সঙ্গে ঔষধের শক্তি নির্বাচন যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা আমাদের সদাসর্বদা স্মরণ রাখতে হবে ।

প্রসঙ্গত একটি রোগীতাকে উপহার দিতে চাই। সে অনেকদিনের কথা, রোগীর নামটি এখন আর সামনে নেই হুগলি জেলায় বাড়ি। কলের সমস্যা রোগীর অন্তিম অবস্থা। রোগীর দেহটি বরফশীতল, নীলাভ, মৃত বলে সন্দেহ হবে। কিন্তু রোগীর হাড্ডি গরম, বিশ্বাসপ্রশ্বাস পর্যন্ত, নাড়ি ক্ষীণ। স্থানীয় এক হোমিওথিক ডাক্তার রোগীর চিকিৎসা করছিলেন। যোগ্য ডাক্তার হিসাবে তার বেশ নাম ডাকও আছে। কিন্তু তিনি মনে না ওঠায় আমার ডাক পড়েছিলেন। ভালো করে লক্ষ্য করা যে, রোগীটি ইশারায় পারা বাতাস চাই। স্থানীয় ডক্টরটি আমারই ছিল। তাকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা কী পরামর্শ? বললেন, কার্বোভেজ৷ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা কত শক্তির ওষুধ খাইয়েছেন বাপু? এই ডক্টরটি কয়টা আমতা করে খুঁজে খুঁজে, সিভি তিন শক্তি। আমার মনে খুব রাগ হল। কিন্তু পদ্ধতিতে তাকে বলে, আপনি ঠিক ওষুধই বলেছেন, তবে কলেরায় এত মৃতপ্রায় রোগীর জন্য নিম্নতর কার্যকর হবে। আমি আমার বাক্স ক্যাম্ফর এর ডোজ ১০ মিনিটের মুখে ৩০ মিনিটের মুখে থেকে। তারপর কার্বোভেজ ২০০ ডিসটিলড ওয়াটারে গুলেনোর ব্যবস্থা করি। এই একটি ওষুধই রোগী মাত্র ৬ ঘণ্টায় পাওয়ার এবং আমাকে বড় খিদে বলতে বলতে চান। কার্বোভেজ ২০০ কত সহজে প্রাণে বাঁচে মৃতপ্রায় জীবনীশক্তিহীন উত্থানশক্তি রোহিত এক রোগীকে মাত্র ৬ ঘণ্টায় সক্রিয়তা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। এক্ষণ কে প্রশ্ন করতে পারেন যে, কার্ভেজের পূর্বে ফরেম্বরকে বাধ্য করা হয় কেন এই ক্যামনে ভয়ের কারণে আমার ভয় ছিল যে আমার সর্বোচ্চ কাছ থেকে ক্যাম্ফ। কলের রোগী নিস্তেজ বাকশক্তিহীন, শক্তিশক্তির অন্তিম পৌঞ্চে সপ্তাহের রোগীর জীবনর গাত্রাবরণ উন্মুক্ত, সে কোন আবরণ চাইছেনা। একজন হিমশী রোগী, গ্রাত্রাব তার প্রস্তাব- হোমিওপ্যাথির এ এক আশ্চর্য বৈপরীত্য। হোমিওপ্যাথি কত সূক্ষ্ম, কত বৈচিত্রে ভরা কত বিরুগুণ সম্পন্ন তা মাত্র বোঝেন তারা রোগীর অবস্থার সঙ্গে হোমিওথির দর্শন ও তার স্তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করেছেন। আপনার যদি ক্যামফর ওষুধটি নিখুঁতভাবে পড়ুন সেখানে আপনি এই অসাধারণ হিবৈচিত্র্য দেবমহাল মহিলা রোগীর তার গাত্রাবরণ প্রকাশের প্রস্তাবনা'-কে দিশা সমাধান। রাজনীতিতে দেখাতে হুগলির কলেবার রোগীর মত কোন রোগী কখনোই নিম্নক্রম না করেন, ৩০ বা ২০০ শক্তি আপনাকে দেখাতে হবে। এখানে যদি আপনার ভুল হয় তাহলে প্রায়শ্চিত্ত আপনাকে করতে হবে। ৩০ বা ২০০ শক্তি আপনাকে ভাবতে হবে। এখানে যদি আপনার ভুল হয় তাহলে প্রায়শ্চিত্ত আপনাকে করতে হবে। ৩০ বা ২০০ শক্তি আপনাকে ভাবতে হবে। এখানে যদি আপনার ভুল হয় তাহলে প্রায়শ্চিত্ত আপনাকে করতে হবে।

মানবের জীবনীশক্তি যেমন অতীন্দ্রিয় শক্তি শক্তি শক্তি শক্তিশালী সুক্ষ্ম ইন্দ্রিয়াতীত। তাই রোগীদেহের জন্য ঠিক আমাদের ওষুধটিও সূত্র্ম এবং অতীন্দ্রিয় বাঞ্ছনীয়। ডাঃ চিনসন লিখেছেন, রোগীর পুরানো সহ, জীবনীশক্তির প্রখরতা, দেহের যন্ত্রের প্রতিক্রিয়া, সহনের শক্তি তপর্শক অবস্থাদি সুক্ষ্ম বিচার করলেও চিকিৎসার শক্তি নির্ণয় করা উচিত। তার নিয়ম, রোগীর জীবনীশক্তি অত্যন্ত ক্ষীণ হওয়া এবং প্রতিক্রিয়া সহ্য করা অক্ষম হলে উচ্চ শক্তির প্রয়োগ ব্যবহার করা অনুচিত। মনীষী কেন্ট মহাশয় মানবের সহনশীল কুল ও ওষুধের শক্তি সম্পর্কে লিখেছেন, “যতক্ষণ এটি কাজ করে ততক্ষণ হালকা শক্তি বজায় রাখুন। সাধারণ মানুষের অনেক ডিগ্রী লাফানো ঠিক নয়। সঙ্গীতেও আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যান না। আপনি তৃতীয় এবং পঞ্চম গ্রহণ করলে এটি জ্যা সংরক্ষণ করে না। খুব বেশি ক্ষমতা একটি অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা দেয়; এটি সর্বোত্তম নিরাময়মূলক ক্রিয়া সম্পাদন করে না।"

মনীষী কণ্ট আবার অন্য লেখক, ৩, ৬, ১২ ইত্যাদি বিপজ্জনক ক্ষমতা। প্রথম দিয়ে শুরু করা এবং প্রয়োজনে আপওয়ার্ড করা সবসময়ই ভালো। ডাঃ কেন্ট উপরোক্ত নিধবাণী আমাদের সতর্কতার সাথে মনের সমস্যা হবে। রোগীর রোগীদেহদেহ গ্রহণকারী রোগীর গ্রহণযোগ্যতা গ্রহণকারী কারণ কার্যকারিতা এবং তার হোমিওপর্যাথি তুল্য নিরীক্ষণের জন্য মনঃসংযোগ আছে। খ্যাতনামা চিকিৎক ডাঃ স্টিফেন লিখেছেন, 'নিম্ন ক্ষমতা স্থূল প্যাথলজিক্যাল স্ট্যাটাসে, ক্রিয়ামূলক ব্যাধিতে মাঝারি ক্ষমতা এবং মানসিক অবস্থায় উচ্চ ক্ষমতা নির্দেশিত হয়। উচ্চ শক্তির ওষুধ যে রোগীর মনস্ততার কত গভীরে ক্রিয়াশীল তাঃ ডাষ্টিফেনের ভাষা যায়। তাই আমরা বলতে পারি যে, রোগের নামক শক্তি যতক্ষণ আমাদের ভৌকদেহে অবস্থান করে নিরোধ শক্তি, মনোরাজ্যে দেখতে মাঝারি শক্তি এবং রোগীর সহনশীলতা ও জীবনীশক্তি সতেজ থাকলে তবেই উচ্চশক্তির ওষুধ কাম্য। বলি বলি, রোগের ও রোগীর জীবনীশক্তি সতেজ থাকলে তবেই উচ্চ শক্তির ওষুধ কাম্য। বলি, রোগের ও রোগীর জীবনীশক্তির গুরুত্ব বিচার করে ওষুধ শক্তি নির্ণয় বাঞ্ছনীয়। প্রত্যেক ক্ষেত্রে রোগীর পুরানো, তার সহনশীলতা, জীবনীশক্তির সতেজতা অথবা নিস্ততা এবং আমিপাশ্বিক অবস্থা সম্যক বিচার করা আশু কর্তব্য। আর একটি কথা, অনুভূতিপ্রবণ স্ত্রীলোক ও শিশুর ওষুধের নিম্নক্রম বাঞ্ছনীয়।

আমি আমার প্রাকটিস এই ওষুধটি যে ওষুধটি ব্যবহার করে তার ফলাফলটি ব্যবহার করে তার একটি সংক্ষেপে সাহসিকতা। মনে রাখবেন আমার চিন্তন, আমার চিকিৎসা ধারা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার ঝুলী একান্তই আমার নিজের। মহামতি হ্যানিমান, মনীষী কন্ট, ফ্যারিংটন, বোরিক, ডেনিহাম, ন্যাস, লিপিড পড়ে এবং রুমশাই ডাঃ মতিলাল মুখার্জীর শিক্ষা প্রণালী অনুসরণ করে আমার পথচলা। তাই আমার এই লেখনি আমার বাস্তব অভিজ্ঞতার ফল খুঁজে পাবেন সদৃশবিধানের কোন বিচ্যুতি এখানে পাবেন না। কবেঃ পিত্তরওপ্যাথির অনুসারী বিরহ নিজেকে যেভাবে প্রকাশ করে তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও ফলাফল সংক্ষেপে আপনাকে সম্মুখে রাখছি।

হোমিওপ্যাথি ম্যাজিক কিওর

অফ ডাঃ হাসানমীর্জা

{{{সিরাজগঞ্জ অনলাইন হোমিওপ্যাথিক স্কুল}}}

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post