ভালোবাসি_বলবে_হবে নবাগতা_লেখিকা_আনিকা_আক্তার পর্ব_০১ +২+৩+৪

 #ভালোবাসি_বলবে_হবে 

#নবাগতা_লেখিকা_আনিকা_আক্তার 

#পর্ব_০১ +২+৩+৪

ভালোবাসি_বলবে_হবে   নবাগতা_লেখিকা_আনিকা_আক্তার   পর্ব_০১ +২+৩+৪


আজকে আমার ছোট ফুলপির হলুদ। কতদিন পর বাড়িতে একটা বিয়ে হচ্ছে। দাদুর দুই ছেলে মেয়ে। সকলের বিয়ে হয়েছে। ছোট মেয়ে অনেক অনেক ধুমধামের সাথে হচ্ছে। আব্বু ও বড় আম্মু। 


আমার সব কাজিনরা ঠিক করেছে শাড়ি। আমি মধ্য দিয়ে না করছি। কারণ আমি শাড়ি পরতেও না আর সামলাতেও। কিন্তু সকলের জরাজিতে ও ছোট ফুপ্পি বলায়, শেষমেশ আমাকেও শাড়ি পরতে হয়েছে। 


আমার সব কাজিনরা প্ল্যাকটা গাড় মেকাপ ও কসমেটিকস ব্যবহার করে ভূত পেত্নী সেজেছে। আমি কিছু ওসব দেইনি। কালো শাড়ি, মেচিং একমুঠো কালো চুড়ি এটুই শুধু। 


দলীয় হলুদে আনেক আত্মীয় স্বজন, আর আপনার কারণে আনুষ্ঠানটা বাগান বাড়িতে। 


সকলে সেজেগুজে বাগান বাড়ির দিকে হাটা ধরলাম। বড় আম্মু ডাকার কারণে আমি সকলের থেকে পিছিয়ে পড়লাম।


আর মাত্র একটা রুমে বেরিয়ে বাহিরে বের হবো। তখন আমার বাম হাতে...


চার


(বিঃদ্রঃ আমার আইডি ও পেজটা কোন কারণে নষ্ট হয়েছে। আইডিও পেজ নষ্ট হওয়ার কারণে গল্পের পর্বঃ গুগু ডিলিট হয়ে গেছে।

তাই নতুন করে পেজ আবার পোস্ট করুন)


#ভালোবাসি_বলবে_হবে

#নবাগতা_লেখিকা_আনিকা_আক্তার 

#পর্ব_০২


যেই আর আমি একটা রুমে বাহিরে বের হবো। তখন বাম হাতে, হেঁচকা টান। সাথে সাথেই দেনার রুমে চাপেলাম পরলাম। হাতের চুরিগুলো সব হাতের বিঁধে চাপে আর ঝরঝর করে রক্ত ​​পরতে লাগলো। তার উপর দিয়ে গালে পরপর ২টা চ্যাটাহাত দিয়ে গাল ধরে ধরে আগন্তুকের দিকে আমরা আছি। আধিপত্য পানি কেনে ঠিকভাবে দেখতে না পাও আমি চিনিকে ভালো করে চিনি। 


আবেগ ঝঞ্ঝালো শব্দে পেলাম, "তোকে আমি বারন করে শুনতে না শাড়ি শুনতে পরতে।


আমিঃচুপ


আগন্তুকঃ কেউ কিছু বলতে তার উত্তর দিতে হয় এই ভদ্রতাবোধটাও প্রবেশ গেছিস। আর আমার কাছে চুপচাপ স্থায়ীটা আমি মোটেও পছন্দ করি না। ফটাফট উত্তর দেব আর না হলে আমি কি ভোট দিতে পারি ভালো করেই জানি। সো, টেলমি রাইট আন্সার এন্ডকুইক।


আমিঃচুপ (কিছু বল্লো। কেন বলুন, কেন হয়না আমাকে। আর কি দেখান আমাকে। আমাকে সব কথা মনে মনে বলে।


আগন্তুকঃ আমাকে চুপ বিবন, যেইদানহা দিয়ে আমার গাল চেপে ধরবেন। তখনি বাহিরে থেকে কেউ আদি বলে ঢাক দেন। আর নিজের হাতের নাম দিয়ে আমার রাগি দৃষ্টিতে বলেন, "গুড লাক।


আমিঃ জানি না। শুধু চুপচাপ দাওয়াই করুন দৃশ্যমান কখাগুলো শুনলাম।


উনি চলে গেলেম। আমার শাড়ি নষ্ট হ'য়ে গেছে। আর হাতদিয়ে এখনো রক্ত পড়েই যাচ্ছে। এখুনি পরিষ্কার করে মিডিসিন না লাগালে ইনফেকশন হয়ে যাবে। তাই আমি আর বাহিরে গেলেম না। রুম থেকে বের হয়ে উপরে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে। পিছন থেকে বড় আম্মু ডাক দেয়।


বড় আম্মুঃ কিরে ইভা তুই এখন এখানে কি করছিস? বরের বাসার সবাই তো এসে গেছে। আর হলুদ অনুষ্ঠানও শুরু হয়েছে।


আমিঃ বামহাতটা শাড়ির আঁচলে লুকালাম। ডানহাত দিয়ে ভালো করে চোখের পানি মুছে নিলাম। বড় আম্মুকে কিছুতেই কিছু বুঝতে দেয়া যাবে না।


বড় আম্মুঃ তুই চুপ করে আছিস কেন। তাকা আমার দিকে। কি হয়েছে বলতো?


আমিঃ আমাকে বলছো কেন, তোমার গুণধর বড় ছেলেকে গিয়ে বলো যে আর কি কি হওয়ার বাকি আছে ( মনে মনে বললাম)


বড় আম্মুঃ তোকে কি আদি কিছু বলেছে?


চলবে


#ভালোবাসি_বলতেই_হবে

#নবাগতা_লেখিকা_আনিকা_আক্তার 

#পর্ব_০৩


বড় আম্মুঃ তোকে কি আদি কিছু বলেছে? 


আমিঃ যেই কিছু বলতে যাবো। তখনি আগন্তুক ফোন চাপতে চাপতে এই দিকেই এগিয়ে আসছে।


আগন্তুকঃ আম্মু তোমাকে আব্বু ডাকছে।


বড় আম্মুঃ ও হ্যাঁ, তোর আব্বু তো আমাকে একটা কাজে রুমে পাঠিয়েছে। বরের বাসা থেকে যারা এসেছেন ওদেরই নাস্তার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। বলেই আসমা রহমান চলেগেলেন।


আমিঃ যেই উপরে যাবার জন্য একটা সিঁড়িতে পা দিব।


আগন্তুকঃ ওখানেই দাঁড়া। তোকে যেতে বলেছি। 


আমিঃ ওখানেই থেমে গিয়ে পিছনে তাকালাম।


আগন্তুকঃ চোখ দিয়ে ইশারায়, ডাইনিয়ং রুমের সোফায় বসতে বললেন।


আমিও কোন কিছু না বলে চুপচাপ ভদ্রমেয়ের মতো বসলাম। কারণ আমি যানি এখন কথা না শুনলে আমার কপালে কি আছে আল্লাহ ছাড়া কেউ বলতে পারবে না।


আগন্তুকঃ ফাস্ট স্টেজের বক্স এনে আমার সামনে হাঁটু গেরে বসলেন। আর কিছু বলার থাকে না যে উনি এখন কি করতে যাচ্ছেন। আমাকে কিছু না বলেই নিজে আমার বামহাতটা নিয়ে প্রথমে কাচগুলো খুব যত্ন সহকারে বের করলেন। ব্যথা লাগলেও আমি মুখে কিছুই বললাম না। চোখ বন্ধ করে চুপচাপ সহ্য করলাম। চোখ দিয়ে শুধু পানিটায় যা পরেছে।


আগন্তুকঃ খুব কষ্ট হচ্ছে? 


আমিঃ এ-ই কথাটা শুনে ইচ্ছে করছি কসিয়ে একটা চড় লাগিয়ে দেই। কেউ নিজে থেকে ব্যথা দিয়ে যদি বলে যে ব্যথা করছে কি না? ব্যাপারটা কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার মতো।


আগন্তুকঃ তুই যদি আমার কথাটা মনে রেখে শাড়ি না পরতি তাহলে আজকে এইদিন দেখতে হতো না। যানি এতদিনে সবকিছু ভুলে গেছিস। তাতে কি আমি তো চলে এসেছি। আস্তে আস্তে সব মনে করিয়ে দিব। আর বেশি ঘাড় ত্যারামি করলে আচ্ছা করে বসিয়ে মনে করিয়ে দেব। 


আমিঃ ৭/৮ বছর উনার কাছে কটাদিন মনে হচ্ছে! 🙄


আগন্তুকঃ এর মধ্যেই হাতের ব্যান্ডেস করি ব্লগে। 


আমিঃ হাত থেকে হাত দিয়ে বোরানোর জন্য যেটাইটান।


আগন্তুকঃ এখনও কি অভিমান নিয়মনি। আমি তো আমার জন্য আর যাবো না প্রমিস। তুমি তো কথা বল। প্লিজ ইভা। আমার সাথে কথা না বলে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে। মানুষ যেমন অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে না। আমি দেখতে তোর সাথে কথা না বলে বাঁচতে পারবো না। ৭/৮ বছর তোর থেকে শুরু কথা না বলে, তোকে না কথা। তুমি যদি এসেও চুপ করে তোমার কাছে, কথা না বলিস। সত্যি কথা, আমি সত্যিই আমারে যেতে রে। এই ছ্যাচাটার প্রতি দয়া কর। কথা বলনা অনেক প্লিজ। তোর কথা শেরনার জন্য, তোকে দেখার জন্য। সেই আমেরিকা থেকে ছুটে। কার জন্য বলতে পারবি, "শুধুর জন্য"।


চার


#ভালোবাসি_বলবে_হবে

#নবাগতা_লেখিকা_আনিকা_আক্তার 

#পর্ব_০৪


কার জন্য বলতে পারবি, "শুধুর জন্য"।এবার কিন্তু বেশি বেশি হচ্ছে। আপনার কথা বলবি কি না বল।


আমিঃ (আর চুপ করে থকলাম না) কিসের বেশি বেশি হ্যাঁ। কিসের বেশি বেশি। আপনাকে কে আসতে বলেছিল, আমি বলেছিলাম যে আসেন? বলিনি তো।তাহলে কেন এলেন। আর আমি কোন ছ্যাচড়ার সাথে কথা বলিনা। ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে। 


আগন্তুকঃ মুচকি হাসি দিয়ে। বসা থেকে উঠে। হঠাৎ করে আমাকে জরিয়ে ধরলেন।


আমিঃ ছাড়ানোর জন্য যতোই ছুটাছুটি করছি।উনি ততোই শক্ত করে জরিয়ে ধরছেন। ছাড়ুন আমাকে। নির্লজ্জ, বেহায়া আমাকে ছারুন বলছি।


আগন্তুকঃ তোকে ছাড়ার জন্য তো আসিনি পাকনি। তোকে এবার আর ছাড়ছি না। ছাড়ার প্রশ্নোই ওঠে না।


আমিঃ চুপ। কিছু বললাম না।


আগন্তুকঃ কিছুক্ষণ পর নিজেই ছেড়ে দিলেন। আর বললেন, উপরে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে। নাহলে তো আব্বু আম্মু আমাকেই দোষ দিবে যে আমি তোর এই আবস্থা করছি।


আমিঃ আশ্চর্য 😳

নিজেই দোষ করে এখন এমন ভাব করছেন  যেন উনি কিছুই করেননি।এসব ব্যক্তিকেই  লোকে বলে, " চোরের মায়ের বড় গলা"। 😐


চার

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post