#মিথ্যে_অপরাধী_যখন_মাফিয়া
(#পর্বঃ_অন্তিম)
#লেখকঃ_শাহরিয়ার_রহমান✍️
🙏🙏অনুমতি ছাড়া কেউ গল্প কপি করবেন না 🙏🙏
_____________________________________________________________________
এই বলে কল কুলক, আর আমি তাদের নিয়ে রওয়ানা ঘোষণা,
রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে ২০০ দিকে, আমরা এখন জন,
আমি গাড়িতে ফোন টিপছি আর তখনই জানোয়ার কল, আমি কলটা রিসিভ, সব মিলিয়ে
আমিঃ হুমম জিয়া বল
জিয়াঃ তোমার সাথে কথা আছে,
আমিঃ বলি, শুনছি,
জিয়াঃ তুমি কে, কি তোমার দল
আমিঃ কেন আমি শাহরিয়ার,
জিয়াঃ না তুমি একজন মাফিয়া,
আমিঃ চুপ করাম,
জিয়াঃ কি কথা বল না কেন
আমিঃ আসলে কিছু না,
জিয়াঃ আমি তোমাকে খারাপ, আগে জানলে আমি এত ভালোবাসি না,
আমিঃ আসলে এটা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না,
জিয়াঃ আমার সাথে কখনো৷ যোগাযোগ করবি না, আর আমি তোকে জেলের ভাত পোলাওব
আমিঃ সমস্যা নেই, ৭ বছর জেলের ভাত দিতেছি, আমি এখন কিছু করব না
এই বলে আমি ফোন করে, রনি চালাচ্ছে, আর আমার কথা শুনেছে,
মধ্যবর্তী সময়ে আমি কলের সমাধান দিয়ে মনে করতে পারি,
যখন তুমি ভালোবাসলে তখন আমি বাসতাম না, আর এখন আমি ভালোবাসি কিন্তু তুমি যাচ্ছ
সমস্যা নেই, তুমি আমাকে বলে যেতে চাও, আর মানুষ তো মিথ্যে অপরাধী দেখতে পায়,
কিন্তু সত্যিই তোহার পরে তুমিই সেই মেয়েকে খুব আপন ভাবতাম,
সত্যি জিয়া তুমি দেখতে দেখতে ভালো হয়ে যাও
একবারও জানতে না আমি কি এই পথের জন্য, একটা কথা সত্যি ছেলেকে খারাপ বানাতে একটা
মেয়ে মিথ্যে প্রেমই যথেষ্ট, আর প্রতিদিন মানুষটা যখন কথা বলে বন্ধ করে দেয়
তখন কি কষ্ট হয়, মনে হয় নিজেকে শেষ করে ফেলি না
কি এমন ব্যাস্ততা, যে আমাকে সময় দিতে পারে না, সে কি আলোচনা করতে পারে,
তার সাথে কথা না বললে কষ্ট হয়,
খুব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পরলাম মনে নেই,
ঘুম ভাঙল রনির ডাকে, আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি ঢাকায় চলে আসছি,প্রায় সন্ধা হয়ে গেছে
আমিঃ কি রে এখন কোথায় আমরা,
রনিঃ ভাই সাদের গোডাউন থেকে একটু দূরে,
আমিঃ ওহ আচ্ছা,,,
তখনই আমার ফোনে একটা ছবি আসলো দেখলাম সাদ পাঠিয়েছে,
আমি ছবিটা ওপেন করে দেখি ১ লোক আর ১ টা মহিলা কল চেয়ারের সাথে বেদে রেখেছে,
আমি ভালো করে দেখি এটা আমার মা বাবা,মা বাবাকে এত বছর পর দেখে চোখে জল চলে আসল,
আমার চোখে জল দেখে রনি আর সাকিব বলল
~ ভাই আপনি কান্না করছেন কেন
আমিঃ আমার বাবা মা,কে তুলে এনেছে
এই বলে তাদের ছবিটা দেখালাম আমি ছবিটা ভালো করে লক্ষ্য করে দেখি পিছনে একটা মেয়ে দাড়িয়ে,
মেয়েটি তোহার মতো দেখতে আমি ভালো করে জোম করে দেখলাম এটা তোহা,
তখন রনি বলতে লাগল
রনিঃ ভাই আজকে এদের শেষ করে দিব,
আমিঃ সবাই জ্যাকেট পরে নাও,, আর খুব সাবধানে কাজ শেষ করতে হবে,
সাকিবঃ ভাই কখন শুরু হবে
আমিঃ আজ রাতে,,১২ টায়
সিয়ামঃ জ্বি ভাই,, ঠিক আছে,
এরপর আমরা একটা হোটেলে এসে সবাই মিলে কিছু খেয়ে নিলাম,
আর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলাম,এভাবে সন্ধা শেষ হয়ে রাত হয়ে গেল,
তারপর আমরা সেই গোডাউনের সামনে চলে গেলাম, আর প্লেন অনুযায়ী সবাইকে সেট করে দিলাম,
এরপর আমি একা ভিতরে গেলাম, আমি গেটের কাছে যেতেই একটা ছেলে এসে আমাকে চেক করতে লাগল,
আমি বললাম,
আমিঃ ভিতরে যাব,আমি শাহরিয়ার
~ আয় আমার সাথে
এই বলে আমি ছেলেটির সাথে যেতে লাগলাম, আর কিছুটা যাওয়ার পর
দেখি সাদ চেয়ারে বসে তোহার সাথে রোমান্স করছে আমার রাগ চরমে
উঠে গেল আর পাশে তাকিয়ে দেখি বাবা মা আছে, আমি যেতেই সাদ আমাকে বলল,
সাদঃ কি রে তর বউকে তর বাবা মার সামনে আদর করছি,,,
আমিঃ কুত্তার বাচ্চা তকে আমি,,
এই বলে আমি সাদকে লাথি মারলাম, আর সঙ্গে সঙ্গে কিছু ছেলে এসে আমাকে ধরে ফেলল,
শুরু করে দিলাম মারামারি, আর কিছুক্ষণ পর সাদ চিৎকার দিয়ে বলল,
সাদঃ আর যদি একটা লাশ পরে তাহলে তর মাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিব,।
এই কথা শুনতেই আমি থেমে গেলাম, আর তখনই আমাকে চেয়ারের সাথে বেদে ফেলল,,
আর আমায় বলতে লাগল,
সাদঃ তুই আমার কতগুলো টাকা, নিয়েছিস,আর এখন একা চলে এলি আমাকে মারতে
আমিঃ তকে মারতে আমার একাই যথেষ্ট,
সাদঃ শালা তর দেখছি এখনো তেজ কমেনি
এই বলে আমাকে মারতে লাগল,আমি মার সহ্য করতে লাগলাম,
আর একসময় আর সহ্য করতে না পেরে আমি মাক্রোফোনে বললাম,
আমিঃ সবাই কে মাটিতে শুইয়ে দাও,
আমি বলার সাথে সাথে গুলি করতে শুরু করে দিল,,আর আমি নিজেই চেয়ারের বাঁধন খুলে সাদ কে মারতে লাগলাম,
এভাবে কিছুক্ষণ চলল, আর আমার লোকেরা সবাইকে মেরে ফেলল,
হঠাৎ সিয়াম জোরে বলল,,
সিয়ামঃ ভাই তোহা পালাচ্ছে,
আমিঃ ধর,আমি এটাকে ধরছি,,,
সিয়ামঃ হুম ভাই ধরছি,,
আমি সাদকে একটা চেয়ারের সাথে বেদে ফেললাম, আর আমি জিজ্ঞেস করলাম
আমিঃ বল ওদিন কি হয়েছিল
সাদঃ আসলে সেদিন আমি আর তোহা মিলে তোমায় জেলে পাঠাই,আর কাগজ পত্র টাকা দিয়ে বানিয়ে দিই,,
বাবাঃ শাহরিয়ার আমাদের মাফ করে দে,,
আমিঃ বাবা কি বল এসব,এটা যে আমার পাপ হবে
তখনই বাবা আমাকে জরিয়ে ধরল, আর কান্না করে দিল
আমিও বাবাকে ধরে কান্না করে দিলাম,
এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর আমি মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি মা নিশ্চুপ হয়ে কান্না করছে,
আমি গিয়ে মায়ের পায়ে ধরলাম আর বললাম,
আমিঃ মা আমি সত্যি অপরাধী নই (,কান্না করে বললাম)
মাঃ তুই আমাদের মাফ করে দে,,,
আমিঃ মা প্লিজ এসব বলো না৷
তখনই মা আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিল,,,আমিও মাকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিলাম,,
একসময় আমি সাকিব কে বললাম,
আমিঃ সাকিব মা বাবাকে নিয়ে গাড়িতে যা,
সাকিব একটু পর মা বাবাকে নিয়ে গাড়িতে গেল,
আর তখন রনিকে বললাম,
রনিঃ রনি দলিল টা দে,
রনি দলিল দিল আর আমি দলিল নিয়ে সাদের কাছে গেলাম, আর বললাম,
আমিঃ দলিলে সাইন কর
সাদঃ হ্যা ভাই করছি তবুও আমাকে মেরো না,
তখন সাদ সাইন করে দিল, আমি দলিলটা রনির কাছে দিলাম,,
আর আমি তোহাকে সাদের সাথে এনে বসালাম, আর বললাম,
আমিঃ কি দোষ ছিল আমার, কেন এমন করলি,
তোহাঃ আসলে আমি সাদকে ভালোবাসতাম,
আমিঃ তুই যদি আমায় একবার বলতি, তাহলে আমিই তকে বিদায় দিতাম আর সাদের হাতে তুলে দিতাম,তবুও কেন করলি এমন,
তোহাঃ চুপ করে আছে,,
আমিঃ আচ্ছা এটা বাদ দে,,এখন সাদ আর আমার মধ্যে পার্থক্য দেখাই,,
তোহাঃ কিসের,জন্য
আমিঃ সাদ কতক্ষণ মিলন করে?
তোহাঃ ছি এটা কি বল
আমিঃ ঠাস করে চর দিলাম, বল
তোহাঃ ২০ মিনিট,,
আমিঃ আমি কতক্ষণ করতাম, মনে আছে,,
তোহাঃ হুমম মনে আছে,,
আমিঃ বিয়ের পরে তকে কোন অভাব দিয়েছিলাম,
তোহাঃ না,,
আমিঃ ভালোবাসা কম ছিল,
তোহাঃ কোনটাই কম ছিল না,
আমিঃ কোনটাই কম ছিল না,তাহলে পরকিয়া কেন করলি
তোহাঃ চুপ করে আছে, আর কান্না করছে৷
আমিঃ কি হলো উত্তর দে
তোহাঃ আমরা কি আবার নতুন করে শুরু করতে পারি না,
আমি এই কথা শুনতেই তোহার বুকে ছুড়ি মারলাম,
তোহা মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর হয়ে চিৎকার দিতে লাগলো, আমি বললাম
আমিঃ তর মতো পাপির বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই,,,
তখন আবার সাদের কাছে আসলাম, সাদ ভয়ে কাঁপতে লাগলো,
সাদঃ আমাকে মাফ করে দাও
আমি হাতে একটা প্লাস নিলাম, আর সাদের একটা আঙুল কেটে দিলাম,
আর সাদ চিৎকার করে ব্যাথায় কান্না করতে লাগলো, আমি কাটা আঙ্গুলে পাশে থাকা লবণ দিলাম,
আর গলা কেটে দিলাম, এরপর বের হয়ে গোডাউনে আগুন লাগিয়ে দিলাম,,
আমি বের হতেই দেখি জিয়া দাড়িয়ে আছে,, মাথা নিচু করে,
আমি জিয়াকে দেখেও না দেখার ভান করে গাড়ির দিকে যেতে লাগলাম,,
আর তখনই জিয়া আমার পায়ে ধরে বলতে লাগল,,
জিয়াঃ আমাকে মাফ করে দাও, আমি জানতাম না সবকিছু,,
আমিঃ পা ছাড়ো,
জিয়াঃ না ছাড়বো না
আমিঃ সবাই দেখছে,,
জিয়াঃ দেখুক সমস্যা নেই,,,
আমিঃ আরে আচ্ছা উঠো,,মাফ করে দিছি,,,
জিয়াঃ না হবে না আগে বল আমায় বিয়ে করবে৷
আমিঃ চেষ্টা করব,
জিয়াঃ বিয়ে করার জন্য চেষ্টা করবে মানে,
আমিঃ আচ্ছা করব৷ এবার উঠো,
এরপর আমি জিয়াকে তুললাম,, জিয়া উঠে আমাকে জরিয়ে ধরল,
আমি ছাড়িয়ে সবার উদ্দেশ্য করে বললাম,,
আমিঃ আমি আজ থেকে এই লাইন ছেড়ে দিলাম, তরা আমার পাশে ছিলি,,তরা পারলে ভালো হয়ে চলিস এই লাইনে টাকা আছে, কিন্তু আসল শান্তি পাবি না,ভালো করে চলিস আমি আমার কোম্পানিতে আবার জব করব,
সবাইঃ ভাই আমরা আপনার পাশে ছিলাম আর থাকবো, আর আমরাও আপনার সাথে আপনার কম্পানিতে জব করব,,,ভাই আপনার পায়ের কাছে থাকতে দিবেন তো,,আপনি ছাড়া আমাদের কেউ নাই,,,
এই কথা শুনতেই আমি তাদের শক্ত করে সবাই করে জরিয়ে ধরলাম,,,
তারাও আমাকে জরিয়ে ধরল,, আর বলল
সবাইঃ হ্যা ভাই আজকে থেকে সবাই ভালো করে চলব,,কথা দিলাম, আর আপনাকে ছাড়ছি না,
তখন হঠাৎ করে সাকিব বলল,
সাকিবঃ আরে তরা কি বলিস,এবার থাম এখন ভাইয়ের বিয়ে খাব,
এই কথা বলতেই আমরা সবাই হেসে দিলাম, আর জিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি খুব লজ্জা পেয়েছে,,,
আর আমরা আবার আমাদের আগের বাসায় চলে এলাম,
আর ৩ দিন পর৷আমার আর জিয়ার বিয়ে হয়ে গেল,
আমি বাসর ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছি, আর তখন সাকিব সিয়াম রনি বলল,
~ ভাই এবার আমাদের টা কবে
আমিঃ হবে হবে চিন্তা করিস না,
সিয়ামঃ ভাই কোন ফার্মেসি খোলা নাই, তাই এই নিন পলিথিন দিয়ে কাজ চালান,😁
আমিঃ তুই আর ভালো হবি না,, 🤣
রনিঃ আরে ভাই নিন না কাজে দিবে
আমিঃ যা এখন,
এরপর আমি হাসতে হাসতে রুমে ডুকলাম আর দরজা বন্ধ করে দিলাম,,,
আর তখনই জিয়া আমাকে সালাম করতে আসল,আর সালাম করল,আমি জিয়াকে ওঠালাম,
আর জিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি হাসছে,আমি এটা দেখে বললাম,
আমিঃ হাসো কেন
জিয়াঃ পলিথিন 😁
আমিঃ 🤣🤣🤣🤣🤣🤣
এরপর জিয়াকে নিয়ে হারিয়ে গেলাম নতুন প্রজন্ম আনতে, তাদের আনার খুব দরকার, আপনাদের চাচ্চু ডাক শুনাবো,😁
এভাবে চলতে লাগল আমাদের জীবন, , ভালোবাসা কোন দিন শেষ হয়না,
যারা সত্যি কাওকে ভালোবেসে থাকেন, প্লিজ দয়া করে তাকে ঠকাবেন না, এটা সত্যি ,একটা ছেলে কখনো একটি মেয়েকে ধোঁকা দেয় না, ধোকাটা মেয়েরাই দিয়ে থাকে
#সমাপ্তি
গল্পটা কেমন লাগলো আসা করি জানাবেন,, আপনাদের ভালোবাসাতেই আমার পূর্নতা,
ভালো থাকুক প্রিয় মানুষ গুলো৷
বিদ্রঃ এই গল্প কেউ নেগেটিভ ভাবে নিবেন না,আর এটা বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই,
ভুল হলে ছোট ভাই হিসেবে ক্ষমা করবেন
ধন্যবাদ সবাই কে,,