গল্প - হ্যাকার যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং লেখক - RJ পর্ব - ৩

 গল্প - হ্যাকার যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং 


লেখক - RJ


পর্ব - ৩ 

গল্প - হ্যাকার যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং     লেখক - RJ    পর্ব - ৩


থাকো তুমি আমি যাই আর হা দুপুরের ব্যবাহারেরে জন্যে সরি।  


আমি রাগ দেখিয়ে আপুর রুমথেকে আমার রুমে চলে আসলাম। 


রুমে শুয়ে আছি দেখলাম আপু আমার রুমে ঢুকলো। 


আমি দেখেও না দেখার ভান ধরে ঘুমিয়ে আছি। 


আপু এসে বিসনার উপর বসলো। 


এই অভ্র চল ছাদে যাবি। 


আমি কনো কথা না বলে আগের মতোই চুপ করে শুয়ে আছি। 


ওই অভ্র আমার এখানে বরিং লাগতেছে চল সাদে যাত তোর সাথে কিছু কথা আছে চলনা সাদে যাই। ( আবেগমাখা কন্ঠে বললো আপু)  


আপুর কথা শুনে শুয়া থেকে উঠে বসলাম। 


এরপরে মুখে একটু পানি দিয়ে আপুর সাথে সাদে গেলাম। 


আমাদের বাসার সাদের চার পাশ দিয়ে  ফুলগাছ লাগানো অবশ্য এগুলো আপুর লাগানো ফুলগাছ। রাতের বেলা হাসনাহেনা ফুলের মিষ্টি সুবাস আমাদের মাতাল করে দিচ্ছে। সাদের কর্নারে একটা দোলনা আছে আমি যেয়ে দেলনায় বসলাম। 


আপুও আমার পাশে বসলো। 


আচ্ছা আপু আমি তোমার কাছে একটা বিশ্বয়ে জানতে চাই। 


আপু - বল কি জানতে চাস। 


তুমি যদি খুলে বলো আমাকে তাহলে বলবো। 


আপু - আচ্ছা বলবো বল কি জানতে চাশ। 


আচ্ছা আপু তুমি বলে আমিকি দেখতে খারাপ? 


আপু - এটা কি বলিশ তুই দেখতো অনেক কিউট। 


আমি দেখতে জদি সুন্দর হই তাহলে তো ভর্সিটে কেউনা কেউ এসে আমাকে প্রপোজ করতো। অথবা আমার কনো মেয়ে ফ্রেন্ড হতো। বাট পুরো ভর্সিটে তুমি আর মিম আপু ছারা কোন মেয়েই আমার আশে পাশেও ঘেসে না। কেন আপু এর কারনটা জানতে চাই? 


আপু - আমাকে আর কখোনো এই প্রশ্ন করবি না। তুই যেভাবে পড়ালেখা করছিস সেভাবে পড়া লেখা কর এখন কনো মেয়ে ফ্রেন্ড এর প্রয়োজন নেই। আর হা সময় হলে সবকিছুই জানতে পারবি কেন তোর ধারের কাছেও কনো ময়ে ঘেসে না। 


আর আজকের ময়েটা হততো তোর ব্যাপারে যানেনা। তাই ভুল করে তোকে উল্টা পাল্টা বলে ফেলেছিলো। 


আপু আমি এখন যথেষ্ট বড় হয়েছি আমি আর ছোট নেই তুমি আমাকে বলতে পারো। 


হা তুই বড় হয়েছিস ঠিকআছে বাট বলার সময়টা আসেনাই যখন সময় আসবে তখন আমি নিজ থেকেই তোকে বলবো। 


এটা বুঝতে পারলাম আপু এখনো আমার কাছ থেকে লুকিয়ে গেলো কথাটা। আসলে আমি আপুকে দিয়ে সত্যি কথাটা বলতে চেয়েছিলাম। যেটা আপুর ব্যবহার দেখে আমার সবসময় মনে হয়।


এ পর্যন্ত অনেকবার ট্রাই করেছি আপুর থেকে জানতে বাট পারি নাই এবার মনে হচ্চে আমাকে নিজেকেই জানতে হবে আপুর সময় কখন হবে তার কনো ঠিকনেই। 


আমি মনে মনে যেটা ভেবেছি সেটাই করবো। আজকে আপুর ফেসবুক আইডি হ্যাক করবো। দেখি ফেসবুক আইডি থেকে কিছু জানতে পারিকিনা। 


এরপর আপুর সাতে সাদে অনেক কথা বললাম। এখন আপু আমার সাথে হেসে হেসে কথা বলছে মনেহয় আমার উপর যে রাগটা করেছিলে সেটা আর নেই। 


এদিকে অনেকখন ধরে সাদে বসে আছি। আপু নিচে চলো নিচে যাই আম্মু একা একা কি করছে কে জানে আব্বু তো এখোনো অফিস থেকে আসে নাই। 


আপু আচ্ছা চল নিচে যাই। 


আমি আর আপু নিচে চলে আলাম। এসে দেখে আম্মু সোফায় বসে আছি। 


আমারা আম্মুর কাছে গেলাম। 


আম্মু একা বসে আছো কেন আমদের ডাকলেই তো আমরা আসতাম। 


দেখলাম তোরা সাদে গল্প করতে গেছিস তাই আর ডাকি নাই দুপুর থেকে রাইসার মোন খারাপ দেখতে পারছি। আমি ভবালাম মনে হয় তুই কিছু উল্টাপাল্টা  করেছিস তাই রাইসার মোন খারাপ হয়েছে। 


আপু - ছোট মা ওসব বাদ দাও আমি একদম ঠিক আছি আমার একটুও মন খারাপ হয়নাই।


আমরা দুজন মিলে আম্মুর সাথে অনেক গল্প করলাম এর নধ্যে আম্মু তার বিবাহের আগের একটা গল্প  বললো আসলে আমার আম্মু আর আব্বু দুজনে দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে।আম্মু তাদের সেই সময়ের একটা গল্প বললো আব্বু কে নিয়ে তবে গল্পটা বেশ হাসার ছিলো।


আমরা তো হাসতে হাসতে শেষ। তখনই আব্বু বাসায় আসলো। 


এতো হাসাহাসি হচ্চে কি নিয়ে? 


আম্মু - আমাদের কলেজ লাইফে জেদিন তুমি প্রথম আমার সামনে এসে আমাকে প্রপোজ করেছিলে সেদিন তোমার যে অবস্থা হয়েছিলো সেটা ওদের কে খুলে বললাম তাই ওরা সুনে হাসতেছে। 


আব্বু - তুমি আর ঠিক হলেনা। শেষ মেষ আমার পেস্টিজ টা ওদের সামনেও পান্চার করে দিলে। আরে তুমি বুঝবানা ওদের এসব জানার অধিকর আছে তাই ওদের জানালাম। 


আম্মুর কথা শুনে আব্বু আর দেড়ি না করে ফ্রেশ হতে চলে গেলো। 


আব্বুর আসা দেখে আম্মু টপবিলে খাবার সাজাতে লাগলো। 


কিছুখন পর আব্বু ফ্রেশ হয়ে আসলো। আমরা সবাই খাবার টেবিলে বসলাম। 


বরাবরের মতো প্রয় দিন রাতে আম্মু আমাকে খাইয়ে দেয় আমি আম্মুর পাশে বসলাম। 


আম্মু আব্বু আর রাইসা আপুকে খাবার বেড়ে দিয়ে নিজের প্লেটে খাবার নিলো। 


রাইসা - ছোট মা অভ্রকে খাবার দিলানা। 


ও হাত দিয়ে খাবেনা দেখছিস না আমার পাশে এসে বসেছে। ও আমার হাতে খাবার জন্যেই আমার কাছে এসে বসেছে। 


রাইসা - তাইলে আমিও তোমার হাতে খাবো। 


ওই আমার খাবারে ভাগ বসাবি না। তোর খাবার তুই নিজে খা। 


রাইসা - মা কি তোর একার নাকি। মা আমারো তাই আমিও খাবো। 


আম্মু - তোরা ঝগরা করিশনা আমি তোদের দুজনকেই খাইয়ে দিচ্ছি। 


আম্মু আমাদের দুজনকেই খাইয়ে দিচ্ছো। খাবার খাওয়া শেষ করে রুমে চলে আসলাম। 


একটু পড়তে বসলান বাট বেশিসময় পড়তে পারলাম না তার আগেই রাইসা আপু এসে হাজির। 


অভ্র কি করিশ। 


কি করবো দেখতে পাচ্ছোনা আমি পড়তেছি। 


আপু - এখন বই রাখ আমার ভালো লাগছে না। আমি তোর সাথে লুডু খেলবো। 


না আমি তোমার সাথে খেলবো না তুমি শুধু আমাকে হারিয়ে দাও।  


আপু - আমার মনে হচ্ছে আজ তুই জিদবি। 


ওকে আজকে যদি হেরে যাই তবে তোমার সাতে আর কনোদিনও লুডু খেলবো না। 


আপু - আচ্ছা, 


আপুর ফোন থেকে লুডু বের করে খেলা শুরু করলাম। 


একপর্যায়ে আপুকে হারিয়ে দিলাম এই প্রথম আপুকে লুডুতে হারিয়ে দিয়েছি। তাইতো লুঙ্গি ডান্স দিতেছি। 


নিচ তেকে আব্বু আম্মু উপরে চলে আসলো আমি এতো চিল্লাছি কেন কিছু হয়েসে নাকি। 


আপু বললো - ছোট মা আসলে ও আজকে আমার থেকে লুডু খেলে জিতে গেছে তাই এমন করতেছে। 


আম্মু আব্বু আবার চলে গেলো আমি এখনো খুব খুশি আবারও নাচতে ইচ্চে করতেছে হারিয়ে দিয়েছি বলে। 


আপু - একবার লুডু খেলে জিতে ও এতটা আনন্দ পাছে আমি আগে জানলে প্রতিদিন আমি ওর কাচে লুডু খেলে হেরে যেতাম। ওর এই হাসিটূর মূল্য আমার কাছে অনেক। 


কিছুক্ষন পর আপু রুমে চলে গেলো বললো ঘুমাবে। 


আমি ও শুয়ে পরলাম ঘন্টা খানেক রেষ্ট নিয়ে আবার উঠলাম। 


ল্যাপটপ টা অন করে কাজ শুরু করে দিলাম। আপুর আইডি যেভবােই হোক হ্যাক করতে হবে। 


আপু প্রায় সব দিক দিয়েই আইডি টা হ্যাকিং সিস্টেম বন্ধ করে রেখেছিলো। বাট এসব আমার কাছে কুছুই না আমি আমার নিজের টেকনিক ব্যবহার করে এক ঘন্টার মধ্যেই সফল হলাম। 


এবার অনেক কৌতুহল নিয়ে আপুর প্রফাইল ঢুকলাম। 


আপুর ফেসবুকের প্রফাইলে যেয়ে যা দেখলাম তাতে  আমার চোখ কপালে উঠে গেছে আমি ভাবতেই পারতেছিনা আপু আমাকে 


চলবে,,,,,

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post