গল্প - হ্যাকার যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং লেখক - RJ পর্ব - ৪

 গল্প - হ্যাকার যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং 


লেখক - RJ


পর্ব - ৪ 

গল্প - হ্যাকার যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং     লেখক - RJ    পর্ব - ৪


আপুর ফেসবুকের প্রোফাইলে যে আমি যা দেখলাম তাতে আমার চোখ কপালে উঠে গেছে। 


আমি ভাবতেই পারতেছি না আপু আমাকে এত বেশি ভালোবাসে কারণ আপুর ফেসবুকের সারা প্রোফাইল জুড়েই শুধু আমি ছিলাম।


 কিন্তু প্রোফাইলের পিকচার গুলো সব অনলি মি করে রাখা  ছিল। সবগুলো পিকচারে আপুর আমাকে নিয়ে যত ভাবোনা সেগুলো লিখে রাখছিল।


আপুর প্রোফাইল খাটতে খাটতে হঠাৎ আমার চোখ একটা জায়গায় আটকে গেল। পিকটা আপু আজকেই বিকালে ছেড়েছে। যেখানে লেখা ছিলো। 


অভ্র তুই কেন বুঝিস না আমি তোকে কতটা ভালোবাসি, তুই কি এটাও বুঝিস না যে ভার্সিটিতে তোর পাশে কোন মেয়ে কেন আসে না কারণ আমি কোন মেয়েকে তোর আশেপাশে আসতে দেয় না। সারাক্ষণ আমি তোকে আমার চোখে চোখে রাখি যাতে কেউ আমার থেকে তোকে ছিনিয়ে নিতে না পারে।


এরপর আপুর ইনবস্ক এ গেলাম। 


সেখানে দেখতে পেলাম আপু ঘুমানোর আগে মিম আপুর সাথে কথা বলছিলো আমাকে নিয়ে। 


মিম - কি হল রাইসা বুঝতে পারলাম না তুই আজকে হঠাৎ করে আমাদের কিছু না বলে কলেজ থেকে চলে আসলি কেন? সেই যে অভ্রের পিছনে পিছনে গেলি আর তো ফিরে আসলি না। অভ্র কি কোন উল্টাপাল্টা কাজ করছে যার কারণে আমাদের সাথে আর দেখা না করেই বাসায় চলে গেছিস।।


রাইসা - আমি যখন তোদের ক্যান্টিনে রেখে অভ্র এর পিছে পিছে আসলাম এসে দেখি একটা মেয়ের সাথে কথা বলতেছে।এরপরে মিমিকে সব খুলে বললাম। আজ আভ্র ওই মেয়েটার সাথে যা যা বলেছে। 


মিমি - রাইসা তোকে আমি একটা কথা বলতে চাই যদি তুই আমার কথা শুনিস তাইলে বলবো।


রাইসা - হুমম বল কি বলতে চাস?


মিমি - রাইসা অনেক তো হলো এবার অভ্র কি তুই তোর মনের কথা বলে দে তুই ওকে এটা বলেছে তুই ওকে ভালবাসিস।


রাইসা - এখন যদি বলি তাইলে অভ্রের পড়ালেখার ক্ষতি হবে তাই এখন বলতেছি না আর কিছুদিন ওয়েট করি তারপর একদিন সময় করে বলে দেব।


মিমি - আমার যেটা ভালো মনে হয় সেটা তোকে বললাম এখন তুই ওকে বলবি না বলবি না সেটা তোর একান্তই নিজের ব্যাপার। 


তবে আমার মনে হয় বলে দেওয়া ভালো কারণ অভ্র এখন যথেষ্ট বড় হয়েছে অভ্রের যদি কাউকে ভালো লেগে যেতে পারে তখন তুই কি করবি।


রাইস - আমি বেঁচে থাকতে অভ্রের পাশে কাউকে আসতে দেবো না।


মিমি -  আচ্ছা তোর যেটা ভালো মনে হয় তুই সেটা কর এখন রাখিরে পরে আবার কথা বলব ঘুমোতে হবে ঘুম আসছে খুব।


রাইসা - হুমম বাই ভলো থাক। 


আপুর প্রোফাইল থেকে বেরিয়ে আরো কিছু ইনবক্স চেক করতে লাগলাম হঠাৎ কয়েকটা সেলের প্রফাইল দেখতে পেলাম।


  কৌতূহল বশত ইনবক্স গুলোর মধ্যে ঢুকলাম। একে একে সবগুলো ইনবক্স চেক করলাম দেখলাম এর মধ্যে অনেকেই রাইসা আপুকে প্রপোজ করেছে এরা পতিটি ছেলেকেই আমার ছবি পাঠিয়ে দিয়ে তাদের বলেছে সে বিবাহিত আমি নাকি তার হাজবেন্ড এসব দেখে আমার খুব হাসি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাকে ভালোবাসার কথা আর আমি নাকি তার হাজবেন্ড হয়ে গেছি।


অনেক ঘেটেছি রাইসা আপুর প্রফাইল।


 এখন থেকে রাইসা আপুর আমাকে নিয়ে যে স্বপ্ন গুলো আসতে আসতে এগুলো পুরন করতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে রাইসা যানো বুঝতে  না পারে আমি সবকিছু জেনে গেছি। 


আপুর আইডি থেকে বের হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম সকালবেলা একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে  নিচে গেলাম।


আম্মু - কিরে আজ সূর্য কোন দিক দিয়ে উঠেছে।


আমি বুঝতে পারতেছি না আম্মু তুমি কেন এসব বলতেছ?


না মানে তোকে তো ডেকেও ঘুম থেকে উঠানো যায়না আর আজ তুই একা একা এত সকালে ঘুম থেকে উঠে গেলি।


কেন আমার কি ঘুম থেকে উঠতে বারণ আছে নাকি?


না আমি তা বলি নাই, যাই হোক আজকে এত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে কি জন্য কোন কাজ আছে নাকি।


না এমনি মন চাইলো তাই উঠলাম আচ্ছা আম্মু রাইসা আপু ঘুম থেকে উঠেছে নাকি। 


না রাইসা এখনো ঘুম থেকে উঠে নাই, যা তো একটু রাইসাকে ঘুম থেকে ডেকে তোল।


আম্মুর কথামত আমি রাইস আপুর রুমে আসলাম এসে দেখি রাইসা আপু এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে।


 এই আপু ঘুম থেকে উঠ আম্মু ডাকছে। দুইবার ডাক দিতে যাব ঘুম থেকে উঠে বসলো।


আপু - কি হলো এত সকাল-সকাল ডাকতেছিস কেন।


উঠে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নাও তোমাকে নিয়ে একটা জায়গায় যাব।


রাইসা - কোথায় যাবি?


আগে উঠ তারপরে ফ্রেশ হও গেলেই দেখতে পাব কোথায় যাব। 


রাইসা - সূর্য আজ কোন দিক দিয়ে উঠলো বুঝলাম না। যাকে এত চেষ্টা করেও কোথাও নিতে পারিনা সে আজ আমাকে বলতেছে ঘুরতে যাব, বুঝতেসি না ওর মাথায় কি ঘুরতেছ। (মনে মনে চিন্তা করলাম)


যাই হোক আমি তো সবসময়ই চাই ওর সাথে কোথাও ঘুরতে যাই ভালোই হলো অনেকদিন পর ওর ইচ্ছা ঘুরতে বেরোবো আজকে।


বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে গিয়ে তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নিলাম রুমে এসে একবারে রেডি হয়ে নিচে আসলাম।


খাবার খেয়ে আমি রুমে এসে বাইকের চাবিটা নিয়ে নিচে এসে রাইসা আপুকে নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম।


আপু - কিরে অভ্র এখনো বলবি না আমরা কোথায় যাচ্ছি।


এত প্রশ্ন করোনা আমাকে ধরে বসে থাকা কিছুক্ষণের মধ্যে আমরা গন্তব্যে  চলে আসলাম।


আপু আমরা চলে এসেছি এখন নাম।


এটা কোথায় নিয়ে আসলি আমাকে?


একটু সামনে গেলেই দেখতে পাবে চলো এরপর রাইসা আপুকে নিয়ে সামনে এগুতে লাগলাম।


চলবে,,,, 


বিঃদ্র - দুঃখিত কলেজের একটা কাজ নিয়ে এই কয়দিন অনেক বিজি সময় পার করেছি। তাই গল্প দিতে পারি নাই এখন থেকে আবার নিয়মিত দেওয়ার চেষ্টা করব ধন্যবাদ

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post