হ্যাকার_দ্যা_রকস্টার♨
লেখকঃAA_SABBIR
পর্বঃ৮
কথা আর কিছু বলেনা......
কথা জুস অর্ডার করে...আর কিছু খাবার...
এটা রকস্টারকে জব্দ করার একটি প্ল্যান মাত্র....
জিসান একটি মুচকি হাসি দেয়....
কথা খাবার আসার পর চেয়ে থাকে জিসানের দিকে যে কিভাবে খায় মুখোশ খোলা ছাড়া..
জিসান ও কম যায় কিসে জিসানের মাস্কটির দুইভাগে ভাগ করা নাকের উপরেরটুকু এক পার্ট আর নিচের টুকু এক পার্ট জিসান নিচের টুকু খুলে কথা আর বাকি দুইজনের বাড়া ভাতে যেন পানি ঢেলে দিলো জিসান....
জিসান এখন খাচ্ছে কিন্তু চেহারা না দেখিয়ে......
আর কথা আর বাকি দুইজন মন খারাপ করে বসে আছে.....
জিসান ব্যাপারটা লক্ষ করেছে কিন্তু সে চাইলেই তার ট্রু আইডেন্টিটি সবার সামনে প্রকাশ করতে পারেনা ।
ওর উপর অনেক দ্বায়িত্ব
অনেক লোকের ভরসা তাই জিসান হাত পা বাধা...
জিসান খাওয়া শেষ করে বাড়িতে চলে যায়....
মাঃকিরে এই পাংকু আবুল হয়ে কোথা থেকি আসলি...
জিসান এখন কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা ।
আসলে মা কলেজে যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা ছিলো তাই এভাবে কলেজে গিয়েছিলাম।
মাঃআমিও তো তাই বলি যে একদিনে এতো পরিবর্তন কিভাবে সম্ভব।
জিসান সেখান থেকে রুমে চলে যায় আবার রওয়ানা দেয় সাকিবদের ফার্ম হাউজে.....
এরা সবাই লেগে আছে মেয়েটির পরিচয় বের করতে আর
জিসান চলে আসলে সাকিব মুখ খুলে
সাকিবঃঐ হ্যাকার গোষ্ঠী আর মার্ডারার রা পালিয়েছে.
জিসানঃ মানে?
সাকিবঃতুই চলে যাবার পর আমরা কয়েকজন ঐ জায়গায় আবার যাই গিয়ে দেখি পুরো বাড়িটা আগুনে পোড়া আমরা তো ভেবেছিলাম দুর্ঘটনা কিন্তু যখন খোজ নিয়ে দেখলাম যে ওদের দলের কেউ আহত বা নিহত হয়নি তখন বুঝতে পারলাম যে এটা ওদের প্ল্যান।
জিসানঃশিট লাস্ট ক্লু টাও হারালাম.....
জিসান একটি চেয়ারে বসে পড়ে আর ভাবতে থাকে....
তখনি ওদের মনিটরে একটি মেইল আসে হ্যাকার গার্লদের তরফ থেকে...
সাকিব মেইলটি ওপেন করে..
লেখাঃ
আমাকে রকস্টার এর সাথে কানেক্ট করো যত দ্রুত সম্ভব....
জিসান এটা দেখে ভাবে নিশ্চিত গুরুত্বপুর্ন কিছু তাই মেইলের রিপ্লাই দেয়...কি হয়েছে বলো আমি রকস্টার...
আরেকটা মেইল আসে যেটা দেখে জিসান হাসবে না কাদবে ভাবতে পারছেনা।
লেখাঃ
তোমরা যে মেয়েকে খুজছো তাকে আমি চিনি।
জিসান তারাতারি কল লাগায় হ্যাকার গার্লদের....
জিসানঃতোমরা কিভাবে চিনো।
হ্যাকার গার্ল মানে কথা
কথাঃও আমাদের এলাকাতেই থাকে ওর বাবা আর্মি মেজর আর মা ডাক্তার....
জিসানঃওদের বাড়ির ঠিকানা দেও...
কথা ঠিকানা দেয় জিসান নোট করে নেয়....
জিসান কথাকে বলে যে ঐখানে গিয়ে খোজ নিতে ......
সাকিব,জিসান,অর্ক,নীল সবাই একটু নিশ্চিত হয়......
কথা পরেরদিন জানায় যে ওনাদের মেয়ে ৭দিন ধরে নিখোজ....
নিখোজ হওয়ার আগে খুব টেনশনে থাকতো আর খালি টাকা চাইতো তাও আবার মোটা অ ংকের ।
জিসান কথাকে হোল্ড করতে বলে কথার ফোনের সিগন্যাল ট্যাপ করে ঐ মেয়ের বাড়ির আশে পাশে সকল নেটওয়ার্ক হ্যাক করে নেয়....
জিসান ঐ মেয়ের বাড়িতে দুইটা কম্পিউটার এর সিগন্যাল পায় যেগুলো একটি মেয়ের মেয়েটির নাম রাইসা ।
জিসান পুরো কম্পিউটার দুটি হ্যাক করে সকল ডেটা তার সার্ভারে কপি করে আনে।
সবাই মিলে ঘাটতে থাকে কিছু প্রমান পাওয়া যায় যদি সেই আশায়.....
সবাই মিলে দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলে।
এখন সবটা ক্লিয়ার ওদের কাছে মেয়েটির কোন বহিরাগত যোগাযোগ নেই কিন্তু ১৩ তারিখ রাতে একটি ভিডিও কলে কথা বলে মেয়েটি তার পর থেকে তার কাছে বিভিন্ন কল আসতো মেয়েটি তাদের বিভিন্ন বেনামি একাউন্টে টাকা পাঠাতো.....
এখন মেইন কাজ হলো এদের পিছনে যে আছে তাকে খুজে বের করা.....
দৌড়াবে.............😁😁
[https://www.facebook.com/rafsanahmed.sabbir.904]
অরিজিনাল লেখকের আইডি
লেখকের নাম ও আইডি লিংক ছাড়া কপি করলে কপি রাইট আইন লঙঘন করা হবে....
আপনাদের সব সময় পাশে পেয়েছি আপনারা লাইক কমেন্ট করে উৎসাহ দিয়ে গেছেন....
আর আশা করি ভবিষ্যতেও এরকম ভালোবাসা পেয়ে যাবো
আপনারা আমার গল্পের পাঠক/পাঠিকা অর্থাৎ আমার কলিজারা যারা গল্পটি পড়ছেন....
ভালো লাগলে💖
অবশ্যই
লাইক 👍
কমেন্ট✏
ও
শেয়ার করবেন.....📲
আপনাদের প্রত্যেকের মতামতই আমার জন্য মুল্যবান...💖
