হ্যাকার_দ্যা_রকস্টার♨
লেখকঃAA_SABBIR
পর্বঃ১৩
কথা ল্যাপটপ টা খুলে দেখে ওয়ালপেপারে কথার আর জিসানের বিয়ের ছবি।
তখনি মেইলবক্স চেক করে দেখে একটা মেসেজ ।
মেসেজে লেখা
তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাইনি..শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র আবার ফিরে আসবো...শুধু অপেক্ষা করো..
এর মানে কি জিসান এখনো বেচে আছে।
জিসান বেচে থাকলেও কিভাবে বাচলো আর বেচে থাকলে লুকিয়ে আছে কেন?
এইসব প্রশ্ন কথার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে।
কথা একদিকে প্রশ্নের সমাধান খুজতে চাচ্ছে অন্যদিকে জিসানের বেচে থাকায় খুশিতে চোখের অশ্রু বিসর্জন দিচ্ছে।
কথা ল্যাপটপ টা হাতে নিয়ে মেসেজটার সোর্স খুজতে থাকে যে কোথা থেকে এসেছে।
অনেক খোজাখুজির পরও কোন তথ্য হাতে আসেনা।
কথা জানে জিসান কি জিনিস।
আর ওর পাঠানো মেসেজের লোকেশন ও বের করতে পারবেনা।
তাও ব্যার্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কথা এখন অনেক করে চাইছে যাতে জিসানের সাথে কথা বলতে পারে।
কিন্তু সেটা তখনই সম্ভব যখন জিসান চাইবে।
বর্তমানে আসা যাক...
এর মধ্যে কেটে গেছে আরো কয়েক মাস।
কথা এখনও এই আশায় বেচে আছে যে জিসান ফিরে আসবে।
কথার বাবা- মা সহ জিসানের মা-বাবা কথার বিয়ে দিতে চেয়েছিল কিন্তু কথা সাফ না করে দেয়।
কথা বর্তমানে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে জব করে।
জব,জিসানের স্মৃতিগুলো, এ নিয়ে কথার এখনকার জীবন।
কথার অফিস ছুটি দিলে ঐদিন কথা চিটাগাং এর উদ্দেশ্যে রওনা হয় গাড়ি নিয়ে ।
কথা ঢাকা পেরিয়ে বিশ্বরোড এর কাছাকাছি আসতেই। পথে একটি রেস্টুরেন্টে চোখ যায়।
রাস্তার সাথে হওয়ায় স্পশট দেখতে পায় একজনকে।
এ আর কেউ না জিসান।
কথা মাঝরাস্তায় গাড়ি ব্রেক করে।
কথা ভাবে হয়তো ভুল দেখছে।
চোখ মুখ মুখে আবার তাকায় একই দৃশ্য দেখতে পায়।
কথা গাড়ি পার্ক করতে নিলে দেখে যে জিসান উঠে একটি গাড়িতে উঠছে।
সাথে আরোও দুইজন আছে সাকিব আর নীল কথা ওদের দুজনকেও ভালো করে চিনে।
কথা গাড়ি পার্ক না করে ওই গাড়ির পিছু নেয়।
গাড়িটা খুব দ্রুত চলছিলো আর ওই গাড়ির সাথে গাড়ির গতি মিলিয়ে গাড়ি চালাতে কথার বেগ পেতে হচ্ছিলো।
কথা দেখতে পায় গাড়িটা শহর ছেড়ে অনেকটা ভেতরে চলে আসে।
গ্রাম এলাকাই ধরতে গেলে।
গাড়িটা একটা জমিদার বাড়ির সামনে এসে থামে।
জমিদার বাড়িটার ভেতরে চলে যায় ওরা পিছনে পিছনে কথাও যায়।
সাকিব বুঝতে পারে যে কেউ ওদের পিছু নিয়েছে তাই পিস্তল্টা বের করে পিছনে ঘুরতেই কথাকে দেখতে পায়।
কথাকে দেখে পিস্তলটি নামিয়ে নেয়।
কথার চোখ চোখ পড়ে যায় সাকিবের দেখতে পায় অনেক রাগ অভিমান।
নীল আর জিসান পিছনে সাকিবকে না দেখে এগিয়ে গিয়ে দেখে কথাকে।
কথা জিসানকে দেখতে পেয়ে দৌড়ে গিয়ে লাফ দিয়ে দুই পা দিয়ে জড়িয়ে জিসানের কোলে উঠে পড়ে।
কান্না করতে থাকে।
সাকিব আর নীল সাইডে দাঁড়িয়ে চুপ করে আছে।
জিসানঃকে আপনি এভাবে জড়িয়ে ধরে আছেন কেন আমায়?
কথা জিসানের মুখে এই কথাটি শুনে জিসানকে ছেড়ে দেয়।
কথাঃআমি জানতাম এমনি করবে।
এখন তো আমাকে আর ভাল্লাগবেনা।
বলো তোমার নতুন স্ত্রী কই।
জিসানঃকি সব আলতু ফালতু বলছেন।
এই সাকিব ইনি কে।
এখান থেকে নিয়ে যা ওনাকে।
সাকিবঃও তোর বউ।
জিসানঃকিসের বউ আমি কি বিয়ে করেছি?
কবে করলাম?
সাকিবঃ তুই ভুলে গেছিস।
জিসানঃএনাকে কোথায় যেন দেখেছি ঠিক মনে পড়ছেনা অনেক বার দেখেছি।
তোরা একে নিয়ে যা আমার মাথা ব্যাথা করছে।
সাকিবঃভাবী চলে আসেন।
কথাঃকি হয়েছে ওর এমন করছে কেন?
সাকিবঃসে এক লম্বা কাহিনী কিন্তু ও যা করছে তা ওনে জানে না।
ও আমাদের দুজনকেই মাঝে মাঝে চিনতে পারেনা।
কথাঃকি হয়েছে ওর সেটা বলো
সাকিবঃওর ম্যামোরি লস হয়েছে।
কথাঃকিহ!!!!!!!!
বলেই মাটিতে বসে পড়ে কথা।
সাকিবঃনিজেকে শক্ত করুন।
ওর ট্রিটমেন্ট চলছে প্রথমে তো আমাদেরই চিনতে পারতো না এখন ধীরে ধীরে সব মনে পড়ছে।
কথাঃকিভাবে হয়েছে এরকম?
নীলঃআমি বলি
আপনি সহ পুরো দুনিয়া জানে আমরা মৃত।
ঐদিন রাতে কি হয়েছিল সেটা আমি বলি।
অর্ক আমাদের সাথে বেইমানি করেছিল।
জিসান ও সাকিবকে গুলি করেছিল এবং আমাদের সবাইকে সার্ভার রুমে আটকে দিয়েছিল।
কিন্তু ও জানতো না যে সার্ভার রুমের একটি এক্সিট আছে ইভেন আমরাও জানতাম না।
শুধু জিসান জানতো।
সার্ভার রুম থেকে ঐ পথ দিয়ে আমরা বের হয়ে এসেছিলাম।
ঐ বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে একটি ম্যানহোল দিয়ে বের হয়ে আমরা হসপিটালে যাচ্ছিলাম তখনি একটি গাড়ি এসে জিসানকে ধাক্কা মারে সেই থেকে এই অবস্তা ডাক্টার রা বলেছে যে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরন ও আঘাত লাগার জন্য এমনটা হয়েছে।
আর আপনার কাছে একটি মেসেজ সেন্ড করা হয়েছিল সেটা আমি সেন্ড করেছিলাম জিসানের অর্ডারে।
কথা এতোক্ষনে সব বুঝতে পেরেছে।
কথাঃএখন কি করা যায়।
সাকিবঃওর ট্রিটমেন্ট চলছে কালকে লাস্ট একটা অপারেশন হবে।
সেটি সাক্সেস হলে জিসানের সব মনে পড়ে যাবে।
আর ওর স্মৃতি না ফিরলে আমরা অনেক বড় বিপদে পড়বো।
কেননা কেবল আমি জানি যে জিসানের একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রোগ্রাম আছে যেটি একটি স্যাটেলাইট এ রাখা আছে আর কেবল ওটিই পারে আমাদের সব আগের মতো করে দিতে কিন্তু জিসানের যেহুতু স্মৃতি শক্তি নেই আর আমিও অতটা দক্ষ নই যে ওর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে হ্যাক করে কন্ট্রোলে নিবো ।
ওর ওই প্রোগাম যার নাম রক্সি।
সেটা অনেক পাওয়ার ফুল জিসানের পাচ বছরের সাধনা।
সারা পৃথিবীর হ্যাকারদের নাচাতে যার কয়েক সেকেন্ড সময় লাগবে।
জিসান ওটার ব্যাবহার খুব কম করতো আমার লাইফে আমি মাত্র একবার ওটিকে ব্যাবহার করতে দেখেছি।
বর্তমানে আমরা তিনজনই রক্সির নিরাপত্তায় আছি।
জিসান যদি ৩ দিনে একবার রক্সির সাথে যোগাযোগ না করে তাহলে রক্সি নিজে থেকেই জিসানকে খুজে নেয়।
আর ও এখন ও আমাদের উপর নজর রেখে চলেছে।
কেননা জিসান ফার্মহাউজ থেকে বেড়িয়ে রক্সিকে একটি কমান্ড দিয়েছিল যে ট্রাস্ট নো বডি এন্ড প্রোটেক্ট মাই ফ্যামিলি।
কথাঃরক্সি কি আমার উপর ও নজর রাখছে?
সাকিবঃহুমম তোমার ফোন ল্যাপটপ যা আছে সব রক্সির প্রোটেকশনে আছে তুমিও তো হ্যাকার চাইলে পরিক্ষা করে দেখতে পারো।
কথাঃও মাই গড আমি নিজেও জানতাম না যে কেউ আমার উপর নজর রাখছে।
সাকিবঃজিসান সুস্থ হলেই আমরা সবাই আগের মতো জীবন যাপন করতে পারবো।
জিসান কি সুস্থ হবে আর কথা কি ফিরে পাবে আগের জিসানকে ।
সাকিব আর নীল কি পাবে আবার আগের মতো সবটা?
নেক্সট পর্বে জানতে পারবেন।
দৌড়াবে..........😎😎
[https://www.facebook.com/rafsanahmed.sabbir.904]
অরিজিনাল লেখকের আইডি
লেখকের নাম ও আইডি লিংক ছাড়া কপি করলে কপি রাইট আইন লঙঘন করা হবে....
আপনাদের সব সময় পাশে পেয়েছি আপনারা লাইক কমেন্ট করে উৎসাহ দিয়ে গেছেন....
আর আশা করি ভবিষ্যতেও এরকম ভালোবাসা পেয়ে যাবো
আপনারা আমার গল্পের পাঠক/পাঠিকা অর্থাৎ আমার কলিজারা যারা গল্পটি পড়ছেন....
ভালো লাগলে💖
অবশ্যই
লাইক 👍
কমেন্ট✏
ও
শেয়ার করবেন.....📲
আপনাদের প্রত্যেকের মতামতই আমার জন্য মুল্যবান...💖