হ্যাকার_দ্যা_রকস্টার♨ লেখকঃAA_SABBIR পর্বঃ১২

 হ্যাকার_দ্যা_রকস্টার♨

লেখকঃAA_SABBIR

পর্বঃ১২

হ্যাকার_দ্যা_রকস্টার♨  লেখকঃAA_SABBIR  পর্বঃ১২


কথাঃজিসান তুমি কথা এড়িয়ে যাচ্ছো কেন..


জিসানঃকোথায় আমিতো কিছু এড়াচ্ছি তুমিই আনরোমান্টিকে হয়ে গেছো একদিনেই....


কথাঃওলে আমাল লোমান্তিক বাবুলে.....


জিসান কথার থেকে কথাটা লোকাতে পেরেছে তাই একটু চিন্তামুক্ত 


সারাদিন কথাকে নানাভাবে এড়িয়ে গেছে সন্ধ্যায়....


জিসান বেড়িয়ে যায়....ফার্মহাউজের উদ্দেশ্যে.....


আর কথা জিসানকে বেড়িয়ে যেতে দেখে....তার পিছু নেয়....


কিন্তু জিসান জানেনা যে কেউ তার জন্য ফাদ পেতে বসে আছে....


আর তারা হলো হ্যাকার গোষ্ঠী।


জিসান ফার্মহাউজের এরিয়ায় পৌছায় ঐখানে পৌছে সাকিব,অর্ক,নীল এদের সবাইকে কল দেয়।

ওরা জানায় যে ওরা ফার্ম হাউজে পিছনে অবস্থান করছে।

জিসান ঐখানে পৌছে ওদের খুজতে থাকে।

পরে দেখে যে সবাই একটি ব্রেঞ্চে বসে আছে আর ওর জন্য অপেক্ষা করছে জিসান ওদের কথা বলে ফার্মহাউজের ভেতরে যায়....

সাকিব আর জিসানের ফিংগার প্রিন্টে সার্ভার রুম খোলে তাই সাকিব ফিংগার প্রিন্ট দিলো।


জিসান রুমে ঢুকেই পুরো সার্ভার রুমের কন্ট্রোল  একজনের কাছে হস্তান্তর করে ।


জিসান খবর পেয়েছে রকস্টার বয়জ গ্রুপের কেউ হ্যাকার দলের কাছ থেকে মোটা অংকার টাকা তাদের হয়ে কাজ করছে আর সে যে কেউ হতে পারে।


সাকিব বুঝতে পারে যে সার্ভার রুমের কন্ট্রোল আর ওদের হাতে নেই।


ব্যাপারটি অর্ক আর নীল ও বুঝতে পারে 


হঠাৎ একটা গুলির আওয়াজ হয় জিসান লক্ষ করে তার তার পেট বরাবর গুলি লেগেছে।


সাকিব দেখে যে জিসানের পেটে গুলি লেগেছে।


সাকিব জিসান বলে জোরে চিৎকার দেয়।


নীল অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে কেননা তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অর্ক সাকিবের পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়েছে।

নীলঃহারামির বাচ্চা বন্ধুত্বের এই মুল্য দিলি !

অর্কঃটাকার জন্য আমি সব করতে পারি।


সাকিবঃতোর কতো টাকা লাগতো আমাকে বলতি...

তোর মুখে ছুড়ে মারতাম।


জিসানঃপেট হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর মুচকি হাসি দিচ্ছে একপর্যায়ে জোরে চিৎকার করে হাসতে লাগলো।


অর্কঃতোর হাসি আমি বের করছি দাড়া।


বলেই আরেকটি গুলি চালায় কিন্তু এইটা এইবার সোজা সাকিবের বুকে লাগে।


সাকিব জিসানকে বাচাতে গুলিটা নিজের উপর নিয়েছে।


নীল জোরে একটা লাথি মারে অর্ক কে।


অর্কর হাত থেকে পিস্তল পরে যায়।


নীল আর অর্কর ধস্তাধস্তি একপর্যায়ে চরম পর্যায়ে চলে যায়।


নীল জিসানের পিস্তল নিয়ে অর্কর বুকে পেটে কয়েকটি গুলি চালায়।


অর্ক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।


জিসান সাকিব আর নীলকে বলে সার্ভার এখন আমার কন্ট্রোলে আছে কিন্তু অর্ক আমাদের সব তথ্য হ্যাকার দলের কাছে দিয়ে দিছে তাই আমাদের সবার লাইফ রিস্কে আছে আর আমরা যদি এখন ফ্যামিলির কাছে যাই তাহলে ওদের জীবনও ঝুকিতে পড়বে।


আমি চাইনা আমাদের জন্য কারো ক্ষতি হোক।


সাকিবের অবস্থা খারাপ তাই ও কোনমতে হ্যা বলে।


আর নীল ও সম্মতি জানায়।


হঠাৎ দরজা জোরে লাগানোর শব্দ পায় জিসান ।


তাকিয়ে দেখে অর্ক ওর জায়গায় নেই আর দরজাটি বাইরে থেকে কেউ লক করে দিয়েছে।


মানে এটা অর্কর কাজ ও এখনো মরে নি।

আর বারবার এলার্ম বেজে চলেছে মানে কেউ ইচ্ছে করে ভুল ফিংগার প্রিন্ট দিচ্ছে যাতে রুমটি সম্পুর্ন ভাবে লক হয়ে যায় আর ওরা এখানেই পচে মরুক।


এলার্ম তীব্র আওয়াজ করে বন্ধ হয়ে গেছে মানে রুমটি লক হয়ে গেছে সাকিবের অবস্থা অনেক খারাপ ওর দ্রুত চিকিৎসার দরকার আর জিসানেরও।


নীলের তেমন কিছু হয়নি তাই নীল ওদের ধরে বের করতে পারতো কিন্তু কোন পথ নেই।


সাকিবঃআমার কিছু হয়ে গেলে আমার মা-বাবাকে দেখে রাখিস।


জিসানঃতোর কিছু হবেনা আমি মরে হলেও তোকে বাচিয়ে দিয়ে যাবো।


নীল ঘেমে একাকার হয়ে যাচ্ছে সাকিব আর জিসানের অবস্থা দেখে।


দেখ কি হয় আমাদের হায়াত থাকলে আমরা অবশ্যই বেচে থাকবো

কথায় আছেনা রাখে আল্লাহ মারে কে।

জিসান তাও হেসে যাচ্ছে আর বলছে অর্ক তুই অনেক পস্তাবি।

একটা কথা তুই ভুলে গেছিস যে আমি তোর ওস্তাদ তুই আমার না আর ওস্তাদ এর মার শেষ রাতে।


অর্কঃবাড়িটাকে আগুন লাগিয়ে দেয়।

বাইরে থেকে কথা ফলো করতে করতে এই পর্যন্ত পৌছেছে


কথা আগুন দেখে প্রচন্ড ভয় পায়।

কেন না বাড়িটাকে জিসান আছে।


কথা কি করবে ভেবে না পেয়ে মাটিতে বসে পড়ে আগুন বাড়িটাকে গ্রাস করছে আর কথা নিরুপায় হয়ে দেখছে আর চোখের জল ফেলছে একপর্যায়ে কথা সেন্সলেস হয়ে যায়।


কথার যখন জ্ঞান ফিরে তখন নিজেকে হাসপাতালে আবিস্কার করে।


চারিদিকে তাকিয়ে ভালো করে দেখে যে জিসানের বাবা ও মা  বসে আছে।

কথার গতকাল রাতের কথা মনে পড়ে যায়।


জিসান কই আমার জিসান কই ওকে ছাড়া আমি বাচবোনা।


জিসানের বাবা মা ওকে মিথ্যা আশ্বাস দিতে থাকে যে জিসান বেচে আছে ওর কিছু হয়নি।


আর কথাতো উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে জিসানের জন্য কেননা নিজের চোখে জলতে দেখেছে বাড়িটাকে।


আর কথা যখন অজ্ঞান হয় তখন আশে পাশের রাস্তা দিয়ে চলতে গাড়ি থেমে যায় বাড়িটার আগুন দেখে আর সেখানে কথাকে পেয়ে সবাই হাসপাতালে নিয়ে আসে।


আর সবাই জানে যে ওইদিন রাতে বাড়িটাতে শর্ট সার্কিটের কারনে আগুন লেগে আর সেখানে  জিসানের ,সাকিবের, অর্কের আর নীলের  জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে।


অন্যদিকে

কথাকে বাড়িতে  শিফট করা হয়েছে কথা মানষিক ভাবে ভেংগে পড়েছে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে কেউ বা ভালো থাকতে পারে।


কিন্তু আজ কেন জানি হঠাৎ জিসানের ল্যাপটপ টা কথাকে বারবার টানছে.......


কথা ল্যাপটপ টা খুলে দেখে ওয়ালপেপারে কথার আর জিসানের বিয়ের ছবি।


তখনি মেইলবক্স চেক করে দেখে একটা মেসেজ ।


মেসেজে লেখা

তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাইনি..শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র আবার ফিরে আসবো...শুধু অপেক্ষা করো...


দৌড়াবে..........😎


আপনারা যারা আছেন আমার ফলোয়ার ও ফ্রেন্ডলিস্টের এছাড়াও সকলকে বলেছিলাম।যে দুইদিনের ভিতরে গল্প দিবো।

তাই আজ দিলাম

আমার শারীরিক অবস্থা ততটা ভালোনা ।

তবুও একটু লেখার চেষ্টা করলাম।


যদি মনে হয়ে থাকে যে গল্পের পর্বটি একটি লাইক ,কমেন্ট ও শেয়ার পাওয়ার যোগ্য তাহলে অবশ্যই করে দিবেন।


যদি আল্লাহ তায়ালা সুস্থ রাখেন তাহলে গল্পটি শেষ করে দিবো।

আর আমার কিছু হয়ে গেলে 

শুধু এইটুকুনি মনে রাখবেন যে #AA_SABBIR নামের কোন লেখক ছিলো।আর আপনারা ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


😍আল্লাহ হাফেজ😍

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post