বন্ধকী দলিল লেখার ফরমেট সাধারণত আইনগত নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। তবে নিচে প্রদত্ত ফরমেটটি মেনে চলেন এবং সেই পর্যন্ত আইনগত নির্দেশনা মেনে চলেন:
বন্ধকী দলিলের মজুদ হওয়া উচিত:
প্রথমে বন্ধকী দলিল লিখার জন্য সাধারণত একটি সারসংক্ষেপ প্রস্তাবিত করা হয়। সারসংক্ষেপের পরে বন্ধকী দলিলের বিস্তারিত অংশ উল্লেখ করা হয়। বন্ধকী দলিল লেখার জন্য নিম্নলিখিত পর্যায়ের অনুসরণ করা উচিত:
প্রথম পর্যায়:
1. বন্ধকী দলিলের মজুদপত্রের শিরোনামটি লিখুন। শিরোনামটিতে সংক্ষেপে উল্লেখ করুন যে এটি একটি বন্ধকী দলিল।
দ্বিতীয় পর্যায়:
2. বন্ধকী দলিলের মজুদপত্রের মালিকের বিবরণ লিখুন। মালিকের নাম, পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা এবং প্রতিষ্ঠানের/প্রতিষ্ঠানগুলির নাম উল্লেখ করুন।
তৃতীয় পর্যায়:
3. বন্ধকী দলিলের মজুদপত্র যে উদ্দেশ্যে লেখা হচ্ছে তা সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
চতুর্থ পর্যায়:
4. বন্ধকী দলিলের বিস্তারিত অংশ লিখুন। এখানে বন্ধকী দলিলের বিশদ শর্তাদি, কোন সময়ে ও কোন শর্তে বন্ধকী দলিলটি বৈধ হবে, কোন প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠানগুলির সাথে এটি সম্পর্কিত এবং বন্ধকী দলিলের ক্ষেত্রে কোন মূল্যায়ন বা কার্যক্রমের তথ্য লিখুন। এছাড়াও, বন্ধকী দলিলের মেয়াদ ও কার্যকারিতার সময়সীমা সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
পঞ্চম পর্যায়:
5. বন্ধকী দলিলের সাক্ষ্য তথ্য উল্লেখ করুন। এখানে বন্ধকী দলিল যে সকল সাক্ষ্য প্রদান করবে তা উল্লেখ করুন, যেমন: দলিলের সনদপত্র, স্বাক্ষরপত্র, কোম্পানির নিবন্ধন সনদ, কর সনদ, ইত্যাদি। প্রয়োজনে, সাক্ষ্যের নম্বর এবং বাংলা অনুবাদ উল্লেখ করুন।
ষষ্ঠ পর্যায়:
6. বন্ধকী দলিলের মজুদপত্র যদি অন্য কোন দলিলের সাথে সংযোগিত হয়, তবে সেই দলিলের তথ্য উল্লেখ করুন।
সপ্তম পর্যায়:
7. বন্ধকী দলিলের মজুদপত্রের শেষে মজুদপত্রটি প্রমাণ করবার জন্য ম্যানেজারের বা কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষর ও তারিখ নথিভুক্ত করুন।
এই ফরমেট অনুসরণ করে আপনি একটি বন্ধকী দলিল লেখতে পারেন। তবে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হলে আপনার স্থানীয় আইনগত নির্দেশনা ও বিধিমালা অনুসরণ করা। আপনি যদি একটি বন্ধকী দলিল তৈরি করতে প্রস্তুত হন, তাহলে নিজের অনুভবগুলি বিবেচনা করে এটি সঠিকভাবে তৈরি করতে পারেন বা একজন অ্যাটর্নি থেকে মতামত এবং পরামর্শ নিতে পারেন।
বন্ধকী দলিল কি
বন্ধকী দলিল হলো একটি সংক্ষেপের মাধ্যমে কোন সম্পদের মালিকানাধীন একটি বন্ধকীতে বাধ্যতামূলক অধিকার প্রদান করতে একপক্ষের বাধ্যতামূলক অংশগুলি সংরক্ষণ করতে ব্যবহৃত নোট বা মালামালের নকশা, আপাতত স্বাক্ষর, অথবা অন্যান্য প্রমাণগুলির মাধ্যমে স্থাপিত একটি কার্যপত্র বা লেখা। বন্ধকী দলিল কোন বৈধ একপক্ষের অধিকার এবং দুইপক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে স্থাপিত হয়। এটি একটি সম্পদ বা সম্পত্তির মধ্যে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয় এবং বন্ধকীতে অংশগ্রহণের শর্তাবলী বিবেচনা করে।
বন্ধকী দলিলে উল্লিখিত অংশগুলি অধিকারপ্রাপ্ত পক্ষের সংক্ষেপের মাধ্যমে স্থাপিত হয় এবং অপরপক্ষের সম্মতি মেলে। এই দলিল মাধ্যমে অংশগ্রহণের শর্তাবলী, মেয়াদ, কর্তব্য, শর্ত, জরিমানা, সাক্ষ্য, উত্তরাধিকার, পরিষেবা প্রদানের শর্ত, এবং অন্যান্য তথ্য উল্লেখ থাকে। এটি একটি সংক্ষিপ্ত লেখা হলেও নিয়মিতভাবে আইনগত বৈধতা রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং দুপক্ষের মধ্যে আপাত বা বৈধ বিতর্কের ক্ষেত্রে স্থানিক আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
জমি বন্ধক নামা লেখার নিয়ম
আমাদের যেকোনো সময় বড় ধরনের টাকা-পয়সার প্রয়োজন হতে পারে। এই বড় ধরনের অর্থাৎ বেশি টাকার প্রয়োজন মেটাতে আমরা অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের আমাদের সম্পদ বিক্রয় করে থাকি। কিন্তু কখনো কখনো আমাদের বেশি টাকার প্রয়োজন হয় কিন্তু আমাদের সংসারে বিক্রয় করিবার মত তেমন কোন দ্রব্যাদি থাকে না। তখন হয়তো আমাদের সম্পদ বলতে জমি থাকলে সেই জমি যদি বিক্রয় করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে অনেক সময় আমরা বন্ধক দিয়ে থাকি। বন্ধ কি চুক্তিনামা হল কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অর্থের বিনিময়ে জমি অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়া।
তবে শুধু জমি নয় বিভিন্ন জিনিস বা সম্পদ আমরা বন্দক দিতে পারি অর্থের বিনিময়ে। এখন আমরা দেখব এই বন্ধক নামা বা চুক্তিনামা কিভাবে লিখতে হয় বা দলিল তৈরি করতে হয়। এই চুক্তিনামা অবশ্যই নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখতে হয় তাহলে এর অবশ্যই একটি মূল্যমান থাকে। না হলে শুধু সাদা কাগজে এ ধরনের চুক্তিনামা লিখলে তেমন কোন ফল হয় না।
তাই আজকে এখন আপনাদেরকে অবশ্যই এই চুক্তিনামা লেখার নিয়মটি আমাদের এখান থেকে দেখিয়ে দিচ্ছি। যাতে করে আপনাদেরকে এই সকল বন্ধু কি চুক্তিনামা লেখার জন্য অন্য কারোর কাছে যেতে না হয়। নিজে নিজেই ঘরে বসে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষী রেখে এই চুক্তিনামা তৈরি করতে পারেন আপনারা নিজেরাই।
তাহলে দেখুন চুক্তিনামা লেখার নিয়ম এবং এটি অবশ্যই ফরমেটে লিখে দিচ্ছি এটা দেখে আপনারা লিখে দিতে পারবেন।
ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী মঙ্গল উচ্চারণ করতে হইবে।
জমি বন্ধকনামার চুক্তিপত্র।
তারিখ:
প্রথম পক্ষ/দাতাপক্ষ/ভূমি অথবা জমির মালিক
দাতার নাম:
দাতার পিতার নাম:
দাতার মাতার নাম:
জাতীয়তা:
ধর্ম:
গ্রাম/সাং
ডাকঘর:
উপজেলা:
জেলা:
দ্বিতীয় পক্ষ/বন্ধক গ্রহীতা
নাম:
পিতার নাম:
মাতার নাম:
জাতীয়তা:
ধর্ম:
গ্রাম/সাং
ডাকঘর:
উপজেলা:
জেলা:
পরম করুণাময় মহান সৃষ্টিকর্তার নাম স্মরণ করে এই বন্ধকনামা চুক্তিপত্রের আইনানুগ বয়ান আরম্ভ করছি। প্রথম পক্ষের নিম্নে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত হয়ে এ যাবৎ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখল করে আসছিল। কিন্তু হঠাৎ করে প্রথম পক্ষের নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় দ্বিতীয় পক্ষকে নিম্নে তফসিল বর্ণিত দাগে ১১.৫ (সারে এগার) কাঠা জমি বন্ধক দেওয়ার প্রস্তাব করলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ১১.৫ (সারে এগার) কাঠা জমি বন্ধক নিতে রাজী ও সম্মত হয়েছেন। তাই উভয় পক্ষ কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে অত্র জমি বন্ধকনামা চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হলাম।
শর্ত সমূহ:
০১। প্রথম পক্ষ( বন্ধক দাতা ),দ্বিতীয় পক্ষ (বন্ধক গ্রহিতার) নিকট হতে নিম্নে তফসিল বর্ণিত ফসলি খালি জমিটি বন্ধক রেখে এককালীন নগদ ৩৫,০০০.০০ (পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা উপস্থিত স্বাক্ষীগণের উপস্থিতিতে বুঝে নিয়েছেন।
০২।যেহেতু, অত্র বন্ধকী জমিটি ফসলী জমী, দ্বিতীয় পক্ষ/বন্ধক গ্রহিতা নিজেই ফসলাদী রোপন করিয়া তাহা ভোগ করবেন অথবা অন্য কারো মাধ্যমে ফসলাদি লাগিয়ে ভোগ করিতে পারবেন।
সাক্ষীগণের নাম:
১/
২/
৩/
এভাবে একটি বন্ধক নামা বা যুক্তি নামা আপনারা নিজেরাই লিখে সেটি বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাক্ষী গ্রহণ করলে সেটি অবশ্যই একটি মূল্য রয়েছে। তাই এভাবে আপনারা যদি ঘরে বসেই নিজেদের মধ্যে এরকম ভাবে বন্ধক নামা চুক্তি তৈরি করেন তাহলে সেটি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য থাকবে। তাই আপনারা আমাদের এই পোস্টে আজকে দেখে নিলেন যে কিভাবে বন্দুক নামা চুক্তি লিখতে হয়। এছাড়া আরো জমে জমা সম্পর্কে বিষয় থাকে সে বিষয়গুলি আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করেন তাহলে সেখান থেকে পাবেন। তাই আপনাদের উচিত হবে আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে অন্যান্য যে বিষয়গুলি সম্পর্কে আপনাদের জানা নেই তা জেনে নিতে পারবেন।
কারণ বর্তমান যুগে চলার জন্য আপনাদের অবশ্যই সবকিছু অন্ততপক্ষে প্রাথমিক জ্ঞান জেনে রাখা উচিত। তাহলে কোথাও আর গিয়ে ঠকবেন না। এবং সবচাইতে বড় কথা হলো আপনি নিজের কাজ নিজে করতে পারবেন অন্য কারো সহযোগিতা জন্য খুঁজে বেড়াতে হবে না।