গল্প - হ্যাকার যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং
পর্ব - ২
লেখক - RJ
রাইসা - তোরা থাক আমি কাব্যের পিছে পিছে যাই দেখি কাব্য কোথায় যাচ্ছে।
আমি মেয়েটদর কথা মতো ক্যাম্পাসের বকুল গাছের কাছে আসলাম। দেখলাম ময়েটা গাছের নিচে দাড়িয়ে আছে।
আমি ময়েটদর কাছে গেলাম - হুম কি বলতে চান বলেন।
মেয়েটা - আপনি আসছেন আমার বিশ্বাস হচ্ছেনা।
রাইসা - গাছের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে একটু সুনি মেয়েটা কি বলে।
হুম আসছি বলেন কি বলতে চান?
মেয়েটা - আসলে আমি বিগত ১ বৎসর ধরে আপনাকে লক্ষ করছি।
হুম ভালো তা আমাকে লক্ষ করে কি পেলেন।
মেয়েটা - এতোদিন ধরে আপনাকে লক্ষ করে আমি এটা বুঝতে পেয়েছি আপনি খুব ভালো মনের মানুষ।
ওহহ ধন্যবাদ।
মেয়েটা - আসলে আমি আপনাকে একটা কথা বলতে চাই।
আমি একটু পাশে তাকাতেই দেখালম রাইসা আপু গাছের আড়ালে লুকিয়ে আছে, আপুর ওরনার একটা অংশ দেখা যাচ্ছে। যইহোক মেয়েটার তালে তাল মিলিয়ে যাই দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়।
মেয়েটা - আসলে আমি আপনাকে ভালোবাসি অনেকদিন ধরে বলতে চাচ্ছি বাট ভয়ে বলতে পারছি না। আপনি যদি না করে দেন তাই বলিনাই।
তাহলে আজ বললেন কেন?
আপনি দিন দিন এতো সুন্দর হয়ে যাচ্ছেন কখন যে কে আপনদকে প্রপোজ করে নিজের করে নেয় তাই আপনাকে হারানোর ভয়ে আজ বলে দিলাম।
বাপরে মেয়েটাতো খুব ভালো পাম দিতে পারে।
আচ্ছা আমি এখন আপনাকে কিছু বলতে পারবোনা তবে কালকে একটু তাড়াতাড়ি কলেজে আসবেন আমি আপনার জন্যে এই বকুল গাছের নিচেই অপেক্ষা করবো, আর আপনাকে যা বলার কালকেই বলবো।
দাড়া তোরে বলাচ্ছি গাছের আড়াল থেকে রাইসা আপু বের হয়ে আসলো।
আপু - তুমি এখানে কি করছো।
এখানে কি করছি মানে এখনে না আসলে তো তোদের এই কৃতকলাপ দেখতে পেতাম না।
কৃতকলাপ এর কি হলো কেউকি আমাকে প্রপোজ করতে পারবেনা নাকি। আমকে কারো প্রপজ করা বারন নাকি।
হুম তোর জন্যে বারন কেউ তোকে প্রপোজ করতে পারবেনা।
সরি ইশিতা আপু আমার ভুল হয়েছে আমি জানতামনা তাই ভুলে বলে ফেলেছে আমাকে ক্ষমা করবেন প্লিজ।
হুম যাই এই ভুল যানো আর দ্বিতীয় বার নাহয়। এবারের মতো কিছু না বলে সবধান করে দিলাম।
আসলে ইশিতা আপুকে কলেজের সবাই চিনে এই কলেজের কনো ছেলে কনো মেয়েকে ডিস্টার্ব করলে সেটা যদি ইশিতা আপুর কানে যায় তবে সেই ছেলের খবর আাছে। ইশিতা আপুকে কলেজের সবাই ভয় পায় সবাই আপুকে লেডি কিলার বলে।
মেয়েটা আপুর থেকে বিদয় নিয়ে চলে গেলো।
আপু তুমি এটা কি করলে এমনিতেই কেউ আমাকে প্রপোজ করেনা আজ একটা মেয়ে প্রপোজ করলো আর তাকে তুমি। (আপুকে একটু রাগানোর জন্যে বললাম আসলে আপুর জন্যেই কনো মেয়ে আমার পাশে ঘেশতে পারেনা।)
প্রেম করার অনেক শখ তাইনা তরে করাচ্ছাি প্রেম আজ বাড়িতে চল। আপু রেগে আমার হাত ধরে টানতে টানতে বাইকের সামনে নয়ে আসলো৷ বারিতে চল আজ তোর খবর বের করবো।
এইরে আপুরে রাগাতে যেয়ে আমি আরো বড় বিপদে পরে গেলাম নাকি।
আমি বাইকে উঠলাম আপু পিছে উঠে বসলো এবার আর আপু আমার কাধে হাত দেয়নাই। বারিতে চলে আসলাম। আপু আমার পিছ থেকে নেমে বাসার মধ্যে চলে গেলো।
আমি বাইক রেখে বাসার মধ্যে ঢুলালাম।
আম্মু - কিরে রাইসা এতো রেগে আছিস কেন?
রেগে আছি কেন জানতে চাও তোমার ছেলে আজ কলেজে।
অভ্র কি করেছে কলেজে নিশ্চই কনো উল্টাপাল্টা কাজ করেছে যার কারনে তুই রেগে আছিস।
রাইসা - না ছোট আম্মু অভ্র কিছু করেনাই আর আমি কই রেগে আছি। আপু তার রুমে চলে গেলো( আসলে আপু আমাদের বাসায় প্রাই রাতে থাকে তাই আপুর আমাদের বাসায় আলাদা একটা রুম আছে )
আমি বারিতে ঢুকতেই আম্মু - ওই রাইসা এভাবে রেগে আছে কেন তুই কিছু বলছিস নাকি।
না আম্মু আমি কিছু বলিনাই। আম্মুর কাছ থেকে কেটে রুমে চলে আসলাম।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছি কখনযে ঘুমিয়ে গেছি মনে নেই। বিকাল বেলা ফোনের শব্দে ঘুম ভাংলো।
ফেন হাতে নিয়ে দেখি সজিব ফোন দিছে।
সজিব - কিরে তুই কোথায় আমরা সবাই ক্লাবে তোর জন্যে ওয়েট করতেছি।
আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম আসতেছি আমি ওয়েট কর।
আমি ফ্রেশ হয়ে নিচে নামলাম। জান্নাত আপু আম্মুর সাথে কথা বলতেছে। আমাকে দেখেও দেখলো না। অথছো আমাদের বাসায় আপু থাকলে প্রতিদিন আমাকে নিয়ে এমন সময় ছাদে যেতো আর আজকে আমার সাতে কথাও বললো না।
রাতে যদি আপু বাসায় থাকে তবে আপুকে সরি বলবানে এখন আমি কাজে যাই।
বাইক নিয়ে সোজা ক্লাবে চলে আসলাম।
ক্লাবে আসে দেখি সবাই এসে গেছে। আমাকে দেখা মাত্রই সবাই যানতে চাইলো আমি কেমন আছি।
একজন বললো ভাইয়া হঠাত আনাদের কেন ডাকলেন?
তখন সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললাম।
আজ যে কারনো তোমাদের ডাকা তোমরা তো জানো এখন প্রতিদিন কলেজ ভার্সিটি তে মাদকের আসক্ত বেড়েই যাচ্ছে। এর পেছনে কে বা কারা আছে আমরা তা কিছুই যানিনা। আজ তোমাদের ডেকেছি এই জন্যে আমারা যাতে কলেজ ভার্সিটি থেকে মাদক একবারে নীমূল করতে পারি। ছত্র দের নিয়ে কে এই ব্যবসা কীতেছে তার শিকর থেকে উপরে ফেলতে চাই তাই তেমাদের ও ডাকলাম।
আজ তেকে তোমারা তোমাদের নিজ নিজ কলেজ থেকে জানার চেষ্টা করবা এই মাদকের পিছে কার হাত আছে, কারা এর জরিত এগুলো খুজে বের করবা। কনো খবর জানতে পারলেই আমাকে জানাবা।
এরপরে সবার সাথে কথা বলে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে গেলো।
বাসয় ঢুকে আম্মুর কাছে জানতে চাইলাম। রাইসা আপু কোথায়?
আম্মু বললো রুমে আছে।
আমি আমার রুমে এসে একটু ফ্রেশ হয়ে আপুর রুমের সামনে গেলাম।
দেখতে পেলাম আপু যানো কি পরতেছে?
আপু আসবো?
আপু কিছু বললো না আগের মতো বই পরতেছে।
বুঝতে পারলাম আপু আমার উপর এখোনো খুব রেগে আছে।
আমি আপুর কাছে যয়ে বসলাম।
আপু তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো।
আপু - তোর সাথে আমার কনো কথা নেই তই যা ভার্সিটি তে যয়ে মেয়ে খুজে প্রেম কর।
কনো মেয়েকে আমার পাশে দেখলে আপু এতোটা সিরিয়াসলি নেয় কেন বুঝতে পারছিনা আমাকে এই বেপারে জানতে হবে। চিন্তা করলাম আজ রাতেই আপুর আইডি হ্যাক করে দেখবো আইডি থেকে কিছু পাই কিনা।
কিরে চুপ কেন?
না মানে আমি আসছিলাম দুপুরের ব্যবহারের জন্যে তেমাকে সরি বলতে। আসলে আমি দুপুরে তেমাকে রাগানোর জন্যেই কথাগুলো বলেছিলাম।আর এখন আসছিলাম তোমাকে সরি বলতে আর তুমি আমাকে।
থাক তুমি আমি যাই। আর হা দুপুরেী ব্যবহারের জন্যে সরি।
চলবে,,,,গল্প - হ্যাকার যখন আন্ডারওয়ার্ল্ড কিং লেখক - RJ পর্ব - ৩